images

সারাদেশ

হারাতে বসেছে গাইবান্ধার প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন

জেলা প্রতিনিধি

০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ১২:৩৬ পিএম

যথাযথ সংরক্ষণের অভাব ও কর্তৃপক্ষের উদাসীনতার কারণে গাইবান্ধা জেলার প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শনগুলো হারিয়ে যাচ্ছে। এসব নিদর্শনের মধ্যে রয়েছে কয়েকশ' বছরের পুরনো মসজিদ, রাজ প্রাসাদ, জমিদার বাড়ি, জোতদার বাড়িসহ ঐতিহাসিক স্থাপনা। জানা গেছে, এসব ঐতিহাসিক নিদর্শনের মধ্যে মাত্র তিনটিকে পুরাকীর্তির তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করেছে প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর। স্থাপনা সংরক্ষণের অভাবে ইতোমধ্যে বেশ কিছু নিশ্চিহ্ন ও বেদখল হয়ে গেছে। 

জাতীয় ওয়েব পোর্টাল গাইবান্ধাডটগভডটবিডিতেও নেই সবগুলো প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শনের তথ্য ও ছবি। স্থাপনাগুলো সংরক্ষণের জন্য গাইবান্ধা জেলা প্রশাসন কোনো উদ্যোগ নেয়নি। প্রচার-প্রচারণা না থাকায় জনসাধারণের কাছে গুরুত্ব পাচ্ছে না প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শনগুলো। নতুন প্রজন্মের কাছে হারিয়ে যাচ্ছে এ জেলার ইতিহাস-ঐতিহ্য। ঐতিহাসিক এ নিদর্শনগুলো রক্ষণাবেক্ষণ করলে পর্যটন ও বিনোদন কেন্দ্র গুরুত্বপূর্ণ স্থান হিসেবে গড়ে উঠতে পারে গাইবান্ধা জেলা।

gaibandha

জেলা প্রশাসন বলছে, একটি কমিটি গঠন করে গাইবান্ধার প্রত্নতাত্ত্বিক নির্দশন সংরক্ষণের উদ্যোগ নেয়া হবে।   

মীরের বাগানের ঐতিহাসিক শাহ্ সুলতান গাজীর মসজিদ গাইবান্ধা জেলার দাড়িয়াপুরে অবস্থিত। মসজিদে দেয়ালে খোদিত লিপি থেকে জানা যায়— মসজিদটি স্থাপিত ১০১১ সালে। দীর্ঘদিন অব্যবহৃত থাকার পর ১৯০০ সালে সৈয়দ ওয়াজেদ আলী নামে এক দরবেশ এ মসজিদ ও মাজার খুঁজে বের করেন ও সংস্কার করেন। পরবর্তীতে শাহ সুলতান নামে এক ধর্মযোদ্ধার নাম এর সাথে জড়িয়ে যায়। তার নামেই মসজিদটি পরিচিতি পায়। প্রতিবছর বৈশাখ মাসে এখানে মাসব্যাপী মেলা বসে। তিন গম্বুজ বিশিষ্ট মসজিদটি আয়তকার, কিন্তু ৩টি বর্গের সমষ্টি। প্রতিটি বর্গের উপর একটি করে গম্বুজ। মাঝের গম্বুজটি অধিক কারুকার্য শোভিত এবং একটু উঁচু।

গাইবান্ধা পৌরসভার পূর্বপাড়ায় অবস্থিত লোন অফিস। এর নির্মাণশৈলী সহজেই আকৃষ্ট করে মানুষকে। জেলা শহরের পুরাতন বাজার থেকে বালাসী রোডে হামদর্দ ল্যাবরেটরিজের সামনেই এই ভবনটি দাঁড়িয়ে আছে। ব্রিটিশ শাসনামলে রাজা-বাদশাহ বা জমিদাররা এই অফিস থেকে ঋণ দিতেন এবং তা আদায় করতেন। কালক্রমে পরিত্যক্ত থাকার পর এখন সেখানে বসবাস করছে কয়েকটি পরিবার। 

gaibandha-4গাইবান্ধার ইতিহাস ও ঐতিহ্য গ্রন্থ থেকে জানা গেছে, বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলের একটি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ প্রত্নতাত্ত্বিক স্থান বিরাট রাজার গড়। বিংশ শতাব্দীর শুরুতে রাখালদাস বন্দ্যোপাধ্যায় সেখানকার প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য লিখে গেছেন। এই প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শনগুলো গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার রাজাহার ইউনিয়নের রাজা বিরাটের এলাকায়। এই এলাকায় কী পরিমাণ জমি রয়েছে, উপজেলা পরিষদ কার্যালয়ে সেই হিসাব পাওয়া যায়নি। তবে স্থানীয় লোকজন জানান, সেখানে অন্তত ৫০ একর জমি থাকতে পারে। একসময় রাজাহার ইউনিয়নের এই জায়গায় বিশাল প্রাচীরবেস্টিত  বিরাট রাজার বসতি ছিল। 

পাল রাজ্য প্রতিষ্ঠিত হওয়ার সময় অষ্টম শতাব্দীর শেষভাগে দক্ষিণ পূর্ব বাংলার সমতটে প্রবল প্রতাপে রাজত্ব করা বে রাজ বংশ ও পুন্ড্রনগর আওতাভুক্ত ছিল রাজা বিরাট। কথিত আছে, প্রায় ৫২০০ বছর আগে গাইবান্ধা জেলার গোবিন্দগঞ্জ এলাকায় বিরাট রাজার রাজধানী ছিল। বিরাট রাজার প্রায় ৬০ (ষাট) হাজার গাভী ছিল। সেই গাভী বাঁধার স্থান হিসেবে গাইবান্ধা নামটি এসেছে বলে জনশ্রুতি রয়েছে। এ প্রত্নস্থান দখল করেও গড়ে উঠেছে ঘরবাড়ি, দোকানপাট। দখলের ফলে ধ্বংসপ্রাপ্ত ঢিবিগুলো এখন প্রায় অদৃশ্য। বিরাটের রাজ প্রাসাদসহ তিনটি স্থাপনা দীর্ঘদিন আগেই মাটির নিচে তলিয়ে গেছে। এসব এখন উঁচু মাটির ঢিবি বা মাটির স্তূপ। বাইরে থেকে প্রাসাদ ও স্থাপনা দু’টির ভবনের ইট খোয়া যায়। বিভিন্ন সময়ে গোবিন্দগঞ্জের রাজাহার ও পাশ্ববর্তী শাখাহার ইউনিয়নের পুকুর থেকে পাওয়া বেশ কিছু মূল্যবান কষ্টি ও বিষ্ণু পাথরের মূর্তি উদ্ধার করে পুলিশ।

জেলার ইতিহাসে গোবিন্দগঞ্জে বর্ধনকুঠি রাজ বংশের ইতিহাস গুরুত্বপূর্ণ স্থান দখল করে আছে। চতুর্দশ শতকে ইন্দ্রাকপুর ছিল উত্তরবঙ্গের মধ্যে একটি বৃহত্তম পরগণা এবং এর রাজধানী ছিল বর্ধনকুঠিতে। ইতিহাসখ্যাত বর্ধনকুঠির সর্বশেষ রাজা শৈলেশ চন্দ্র ১৯৪৭ সালে ভারত চলে গেলে ১৯৬৫ সালে বর্ধনকুঠির পরিত্যক্ত রাজবাড়িতে ‘গোবিন্দগঞ্জ কলেজ’ নামে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটি। স্থাপনাগুলো সংরক্ষণের অভাবে কলেজের দুইটি ভবনের দেয়াল ও কক্ষের ভেতরে বিভিন্ন ধরনের আগাছা জন্ম নিয়েছে।

gaibandha-5

গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার একটি অতি প্রাচীন মসজিদ তিন গম্বুজ বিশিষ্ট মাস্তা মসজিদ। মসজিদটি কোন সময় নির্মিত হয়েছে তা কোনো সূত্র থেকেই জানা যায়নি। তবে মসজিদের নির্মাণশৈলী ও মোঘল আমলের মসজিদ স্থাপত্যের বৈশিষ্ট্যের সূত্র ধরে ধারণা করা যায়, মাস্তা মসজিদটি মোঘল আমল ষোল শতকের দিকে কোনো এক সময় নির্মিত হয়েছে। কামারদহ ইউনিয়নের মাস্তা গ্রামের প্রাচীন লাল মসজিদটিই ‘মাস্তা মসজিদ’ নামে পরিচিত। জনশ্রুতি মতে, এককালে এই এলাকায় বাদশা ফকির নামে একজন প্রভাবশালী ধর্মপরায়ণ ব্যক্তির বাস ছিল। তিনি এ মসজিদটি প্রতিষ্ঠা করেন। উপজেলা সদর হতে প্রায় তিন কিলোমিটার দক্ষিণে এবং কামারদহ ইউনিয়নের ফাঁসিতলা বাজার হতে ১ কিলোমিটার উত্তরে মহাসড়কের পশ্চিম পার্শ্বে এই মসজিদটি অবস্থিত। পুরাতন মসজিদগুলোর মধ্যে প্রাচীন মাস্তা মসজিদ স্থাপত্যের অপর একটি নিদর্শন। 

পলাশবাড়ী উপজেলা শহরের ঘোড়াঘাট সড়ক সংলগ্ন নুনিয়াগাড়ী এলাকায় ইমামসহ মাত্র চার থেকে পাঁচজন নামাজ আদায় করা যেতো এক গম্বুজ বিশিষ্ট কাদিরবক্স মণ্ডলের মসজিদে। সবচেয়ে ছোট মসজিদ হিসেবে বেশ সুপরিচিতি পেয়েছে মসজিদটি। অষ্টাদশ শতাব্দীতে নবাব সুজা-উদ দৌলার আমলে মসজিদটি নির্মাণ করা হয় বলে ধারণা করা হয়। 

সাদুল্লাপুর উপজেলার নলডাঙ্গা ইউনিয়নের কালীবাড়ি পাড়া গ্রামে ১৮৯৭ সালে জন্মগ্রহণ করেন উপমহাদেশের প্রখ্যাত নাট্যকার, অভিনয় শিল্পী, চলচ্চিত্রকার তুলসী লাহিড়ী। তার জমিদার বাড়িটিও আজ নিশ্চিহ্ন হওয়ার পথে আছে। এখন রয়েছে শুধু সেই আমলের একটি পাকা বাড়ি, টিনের ঘর, কষ্টিপাথরের শিবলিঙ্গ ও শ্বেত পাথরের একটি বৃষ মন্দির। জমিদার তুলসী লাহিড়ীর বসতভিটায় এখন গড়ে উঠেছে তার বংশধরদের নতুন নতুন বাড়ি। 

gaibandha-8ব্রিটিশ শাসনামলে সাদল্লাপুর উপজেলার জামালপুর ইউনিয়নের বড় জামালপুর গ্রামে জামালপুর শাহী মসজিদটি প্রাকৃতিক দুর্যোগে মাটির নিচে চাপা পড়ে। পরে জনবসতি না থাকায় সেটি বটবৃক্ষ ও বন-জঙ্গলে আচ্ছন্ন হয়ে থাকে। দেশ স্বাধীনের আগে এক ঝড়ে মসজিদটি দৃশ্যমান হওয়ার পর থেকে সেটিকে স্থানীয়রা গায়েবী মসজিদ বলে থাকেন। এটি একটি তিন গম্বুজ বিশিষ্ট মসজিদ। 

১২৫২ সালে নির্মিত সুন্দরগঞ্জ উপজেলার সর্বানন্দ ইউনিয়নের রামভদ্র গ্রামে জমিদার বাড়ির (বামনডাঙ্গা জমিদার বাড়ি) কোনো স্মৃতিচিহ্নই আর নেই। জমিদার বাড়ির জায়গায় এখন সেখানে গড়ে উঠেছে ধর্মীয় ও সরকারি প্রতিষ্ঠান এবং বসতবাড়ি। 

এছাড়া সাঘাটা উপজেলার মুক্তিনগর ইউনিয়নের হাট ভরতখালী এলাকায় জমিদার বাড়ি, সাদুল্লাপুর উপজেলার কামারপাড়া ইউনিয়নের পূর্ব কেশালীডাঙ্গা গ্রামের জোতদার প্যারীমাধব সরকারের বাড়ি, সুন্দরগঞ্জ উপজেলার রামজীবন ইউনিয়নের কাশদহ গ্রামের জোতদার ইয়াকুব উদ্দিন সরদারের বাড়ি ও সুন্দরগঞ্জের ধোপাডাঙ্গা ইউনিয়নের উত্তর রাজিবপুর মধ্যপাড়া গ্রামে তিন গম্বুজ বিশিষ্ট ব্রিটিশ শাসনামলে নির্মিত মসজিদটি এখন কেবল টিকে রয়েছে কালের সাক্ষী হিসেবে। আর অন্য সব স্থাপনা নষ্ট হয়ে গেছে অনেক বছর আগেই। 

তাছাড়া পলাশবাড়ী উপজেলার বরিশাল ইউনিয়নের বরিশাল গ্রামে জোতদার বাড়ির কোনো কিছুই এখন আর নেই। অপরদিকে ব্রহ্মপুত্র নদের ভাঙনে বহু বছর আগেই নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে ফুলছড়ির রসুলপুরের জোতদার বাড়িটিও। ২০১০ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে থাইল্যান্ডের রাজকন্যা মাহা চাক্রী শিরিনধর্ন কামারপাড়ার পূর্ব কেশালীডাঙ্গা গ্রামের জোতদার প্যারীমাধব সরকারের এই বাড়িটি পরিদর্শন করেছেন। 

gaibandha-3এদিকে প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর রংপুর বিভাগের গুরুত্বপূর্ণ প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শনের তালিকায় শুধুমাত্র পলাশবাড়ী উপজেলার দরিয়ার দুর্গ মাউন্ড ও ধ্বংসপ্রাপ্ত দরগাহ, কাদিরবক্স মণ্ডলের মসজিদ এবং গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার বিরাট রাজার ঢিবির নাম উল্লেখ রয়েছে। ২০২১ সালের জুন পর্যন্ত রংপুর বিভাগের সংরক্ষিত ঘোষিত পুরাকীর্তির তালিকায় এই তিনটি প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শনের মধ্যে দরিয়ার দুর্গ মাউন্ড ও ধ্বংসপ্রাপ্ত দরগাহ এবং কাদিরবক্স মণ্ডলের মসজিদের কোনো ছবি ও তথ্য পাওয়া যায়নি । অনেকের কাছে খোঁজ করেও দরিয়ার দুর্গ মাউন্ড ও ধ্বংসপ্রাপ্ত দরগাহ সম্পর্কে কিছু জানা সম্ভব হয়নি। এমনকি এ  দুইটি স্থাপনা সম্পর্কে প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের ইতিহাস সম্বলিত কোনো লেখা বা সাইনবোর্ড চোখে পড়েনি। শুধু স্থাপনা দুটির নাম তালিকায় উঠেছে। কিন্তু দৃশ্যত সংরক্ষণের কোনো উদ্যোগ নেই। আবার এই তিনটি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে গাইবান্ধাডটগভডটবিডিতে  জেলার ঐতিহ্য এবং পুরাকীর্তির সংক্ষিপ্ত বর্ণনায় দরিয়ার দুর্গ মাউন্ড ও ধ্বংসপ্রাপ্ত দরগাহ এবং কাদিরবক্স মণ্ডলের মসজিদের কোনো তথ্য বা ছবি নেই। ফলে এই দুটি স্থাপনার তথ্য অজানাই থেকে যাচ্ছে গাইবান্ধা ও দেশের পর্যটক এবং ভ্রমণপিপাসু মানুষদের কাছে। শুধু তাই নয়, অন্যান্য জেলা ওয়েব পোর্টালে জেলার বিভিন্ন পুরাকীর্তি বিভাগে তাদের জেলার বহু পুরাতন মসজিদসহ অন্যান্য প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শনের তথ্য দিলেও গাইবান্ধা জেলার ক্ষেত্রে তা করা হয়নি।
 
জেলার প্রবীণ কবি ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব সরোজ দেব বলেন, ‘জেলার এসব প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন সরকারিভাবেই সংরক্ষণ করে বিনোদন কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলা উচিত। এটা করা হলে একদিকে মানুষ এসব গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা সম্পর্কে জানতে পারবে, অন্যদিকে সুস্থ বিনোদনেরও ব্যবস্থা হবে। এসব প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন দেখতে দেশের নানান প্রান্ত থেকে ভ্রমণপ্রেমী মানুষের পদচারণা ঘটবে। ফলে এসব এলাকার অর্থনৈতিক উন্নয়নও ঘটবে। 

স্থানীয় প্রশাসনকে এসব স্থাপনার বিষয়ে ইতিহাস সম্বলিত সাইনবোর্ড তৈরি করে প্রচার-প্রচারণা করতে হবে বলেও উল্লেখ করেন কবি সরোজ দেব।

gaibandha-
 জাতীয় ওয়েব পোর্টালে জেলার সবগুলো প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শনের নাম  উল্লেখ না থাকাটা দুঃখজনক জানিয়ে গাইবান্ধা পাবলিক লাইব্রেরি অ্যান্ড ক্লাবের সাধারণ সম্পাক জিয়াউল হক জনি বলেন, ‘বিনোদন ও ভ্রমণপ্রেমী মানুষ নেট দুনিয়ায় খুঁজে থাকেন বিভিন্ন প্রাচীন, পুরনো ও ঐতিহাসিক স্থাপনা সম্পর্কে। কিন্তু তারা এক্ষেত্রে অন্য জেলার বেশি ইতিহাস-ঐতিহ্য ও পুরাকীর্তি সম্পর্কে তথ্য খুঁজে পাচ্ছেন। ফলে তারা সেদিকেই যাচ্ছেন। আর অজানা ও অদেখা থেকে যাচ্ছে গাইবান্ধার স্থাপনাগুলো। এজন্য এ জেলার প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন সংরক্ষণের বিষয়ে একটি কমিটি গঠন করা উচিত। যে কমিটি বেদখল হয়ে যাওয়া স্থাপনা উদ্ধার, সংরক্ষণ ও জনসাধারণের প্রবেশাধিকার নিশ্চিত করে বিনোদন কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তুলতে কাজ করবে।’ 

এ বিষয়ে গাইবান্ধার জেলা প্রশাসক মো. অলিউর রহমান ঢাকা মেইলকে বলেন, ‘জেলার এসব ইতিহাস সংরক্ষণ করা প্রয়োজন আছে। যেসব প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন সংরক্ষণ করা প্রয়োজন বা সংরক্ষণের সুযোগ আছে, সেসব নিদর্শন সংরক্ষণ করা হবে। আমরা এ বিষয়ে একটি উপ-কমিটি করবো। এই কমিটি এসব প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন সংরক্ষণের বিষয়ে উদ্যোগ নেবে। বিষয়টি নিয়ে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় ও প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরকেও চিঠি দিয়ে জানানো হবে।’  

এইচই