নিজস্ব প্রতিবেদক
১০ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ১২:৪০ পিএম
করোনাভাইরাস প্রতিরোধী টিকা নেওয়ার কারণে ওমিক্রন ছড়িয়ে পড়ার পরও দেশে প্রাণহানি কম হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। এছাড়া দেশে টিকা কার্যক্রম শুরুর পর এখন পর্যন্ত ৭৫ শতাংশ মানুষ টিকা নিয়েছেন বলে তথ্য দেন মন্ত্রী।
বৃহস্পতিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) মহাখালীর জাতীয় ক্যান্সার গবেষণা ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে বিশ্ব ক্যান্সার দিবস উদযাপন উপলক্ষে আয়োজিত আনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি।
২০১৯ সালের শেষের দিকে চীনে প্রথম করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। এরপর বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়া ভাইরাসটি বাংলাদেশ শনাক্ত হয় ২০২০ সালের ৮ মার্চ। সেদিন তিনজনের করোনা শনাক্তের কথা জানানো হয় সরকারের পক্ষ থেকে।
শনাক্তের ১০ দিন পর ১৮ মার্চ প্রথম মৃত্যু হয় একজনের। গত বছরের ৫ ও ১০ আগস্ট দুদিন সর্বাধিক ২৬৪ জন করে মারা যান। ভয়াবহ আকার ধারণ করতে থাকা করোনার গতি থামাতে বেশ কিছুদিন লকডাউনের কবলে থাকে দেশ।
টিকা দেওয়ার পর কমতে শুরু করে করোনা সংক্রমণ ও মৃত্যুর হার। কিন্তু ডিসেম্বরের মাঝামাঝি সময়ে দেশে করোনার দক্ষিণ আফ্রিকার ধরন ওমিক্রন শনাক্তের পর থেকে ফের বাড়তে থাকে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। কিছুদিন দৈনিক শনাক্তের সংখ্যাটা ১৫ হাজারও ছাড়িয়ে গিয়েছিল। তবে সেই তুলনায় মৃত্যুর আগের দুই ঢেউয়ের তুলনায় কম ছিল।
গত বছরের ২৭ জানুয়ারি রাজধানীর কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে টিকা কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ১১ দিন পর ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে গণটিকা কার্যক্রম শুরু হয়।
টিকা দেওয়ার পর কমতে শুরু করে করোনা সংক্রমণ ও মৃত্যুর হার। কিন্তু ডিসেম্বরের মাঝামাঝি সময়ে দেশে করোনার দক্ষিণ আফ্রিকার ধরন ওমিক্রন শনাক্তের পর থেকে ফের বাড়তে থাকে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। কিছুদিন দৈনিক শনাক্তের সংখ্যাটা ১৫ হাজারও ছাড়িয়ে গিয়েছিল। তবে সেই তুলনায় মৃত্যুর আগের দুই ঢেউয়ের তুলনায় কম ছিল।
করোনা প্রতিরোধী টিকা নেওয়ার কারণেই মৃতের সংখ্যাটা কম হয়েছে বলে জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী। অনুষ্ঠানে যারা এখনো টিকা নেননি তাদের দ্রুত টিকা নেওয়ার আহ্বান জানান জাহিদ মালেক।
অনুষ্ঠানে অসংক্রামক ব্যধি ক্রমেই অধিক প্রাণঘাতীতে পরিণত হচ্ছে বলেও জানান জাহিদ মালেক। বলেন, দেশে মোট মৃত্যুর শতকরা ৬৭ ভাগই হয় অসংক্রামক রোগের কারণে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, 'সভ্যতার উন্নয়নের সঙ্গে সঙ্গে অসংক্রামক ব্যধি অধিক আকারে ছড়িয়ে পড়েছে। দেশে ৬৭ ভাগ লোক অসংক্রামক রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যায়। দেশে বর্তমানে প্রায় ২৫ লাখ মানুষ ক্যান্সারে আক্রান্ত। এ রোগে আক্রান্ত হয়ে প্রতিবছর এক লাখ মানুষ মারা যায়। করোনায় দিনে কত মারা যাচ্ছেন তা সবাই দেখলেও ক্যান্সারে কত লোক মারা যায় তা কেউ দেখে না।
প্রতিষ্ঠানটির পরিচালকের সভাপতিত্বে সভায় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব লোকমান হোসেন মিয়া, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এবি এম খুরশীদ আলম এবং অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আহমেদুল কবীর প্রমুখ।
এমএইচ/এমআর