images

আন্তর্জাতিক

ভারতকে কালো তালিকাভুক্ত করার প্রস্তাব আমেরিকার

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

১৭ ডিসেম্বর ২০২৩, ০২:০২ পিএম

images

ভারতকে কালো তালিকাভুক্ত করার প্রস্তাব করেছে মার্কিন কর্তৃপক্ষ। কারণ, ধর্মীয় স্বাধীনতা নিয়ে ভারতের পরিস্থিতিকে ‘অত্যন্ত উদ্বেগজনক’ আখ্যা দিয়েছে আমেরিকার কমিটি। 

এখন ধর্মীয় স্বাধীনতা ইস্যুতে ভারতকে ফের কালো তালিকাভুক্ত করার সুপারিশ করা হয়েছে। এর আগেও দেশটিকে কালো তালিকাভুক্ত করার প্রস্তাব করেছিল মার্কিন কর্তৃপক্ষ।

আরও পড়ুন: মোদির আমন্ত্রণে সাড়া দিলেন না বাইডেন

ইউএস কমিশন অন ইন্টারন্যাশনাল রিলিজিয়াস ফ্রিডম (ইউএসসিআইআরএফ) তাদের রিপোর্টে বলেছে, ২০২২ সালে ভারতে ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের পরিস্থিতি খারাপ হয়েছে। ফলে বাইডেন প্রশাসন যাতে ভারতকে এই বিষয়ে ‘উদ্বেগজনক পরিস্থিতিতে থাকা একটি দেশ’ হিসেবে চিহ্নিত করে, রিপোর্টে সেই সুপারিশও করা হয়েছে। 

কমিশনের আরও দাবি, আন্দোলনকারী, সাংবাদিক ও আইনজীবীদের চুপ করাতে ভারতের পদক্ষেপগুলো ধর্মীয় স্বাধীনতায় গুরুতর বাধা। ইউএসসিআইআরএফ-এর কমিশনার বলেছেন, ‘কানাডায় হরদীপ সিংহ নিজ্জরের হত্যা এবং আমেরিকায় গুরুপতবন্ত সিংহ পন্নুনকে হত্যার চক্রান্তে ভারতের নাম যেভাবে জড়িয়েছে, তা খুবই বিরক্তির বিষয়।’ 

পাকিস্তান অবজারভার ও জিও নিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘ইউনাইটেড স্টেটস কমিশন অন ইন্টারন্যাশনাল রিলিজিয়াস ফ্রিডম (ইউএসসিআইআরএফ) যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দফতরকে বলেছে যে ধর্ম বা বিশ্বাসের স্বাধীনতার গুরুতর লঙ্ঘনের ক্ষেত্রে ভারতে নিয়মতান্ত্রিক নিয়ম-রীতি চালু রয়েছে। সেখানে সব সময় ধর্মীয় স্বাধীনতা লঙ্ঘিত হচ্ছে।’ এ কারণে আমেরিকার সংস্থাটি যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দফতরকে অনুরোধ করেছে যে ধর্ম বা বিশ্বাসের স্বাধীনতার গুরুতর লঙ্ঘনের ক্ষেত্রে ভারতকে একটি বিশেষ উদ্বেগের দেশ হিসেবে মনোনীত করা হোক।

আরও পড়ুন: শিখ নেতা হত্যার ষড়যন্ত্র ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্রের ‘গোপন ব্রিফিং’

ইউএসসিআইআরএফ কমিশনার স্টিফেন শ্নেক বলেছেন, কানাডায় শিখ কর্মী হরদীপ সিং নিজার হত্যায় ভারত সরকারের জড়িত থাকার অভিযোগ এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে আরেক শিখ নেতা গুরপতবন্ত সিং পান্নুনকে হত্যার পরিকল্পনা "গভীরভাবে উদ্বেগজনক"।

গতকাল পেশ করা আমেরিকান সংস্থার এই রিপোর্ট নিয়ে ওয়াশিংটনে ভারতীয় দূতাবাস তাৎক্ষনিক কোনো প্রতিক্রিয়া জানায়নি। তবে কূটনীতিকদের মতে, ভারত সরকারের পক্ষ থেকে নিয়মিতভাবেই এই ধরনের অভিযোগ খারিজ করে দেওয়া হয়ে থাকে।

ধর্মীয় স্বাধীনতা লঙ্ঘিত হচ্ছে— এমন অভিযোগ এনে ভারতকে কালো তালিকাভুক্ত করতে এই ধরনের সুপারিশ এই প্রথমবার করছে না আমেরিকার সংস্থাটি। গত ২০২০ সাল থেকে প্রতি বছর এই একই কথা বলে আসছে তারা। ২০২০ সালেই অবশ্য ভারত সরকার কমিশনের এই ধরনের বক্তব্যকে ‘একপেশে’ আখ্যা দিয়ে খারিজ করে দিয়েছে।

সূত্র : পাকিস্তান অবজারভার, জিও নিউজ

এমইউ