সোমবার, ৭ এপ্রিল, ২০২৫, ঢাকা

শীতকালীন সবজি

ভরা মৌসুমেও সবজির দাম চড়া

জেলা প্রতিনিধি, শরীয়তপুর
প্রকাশিত: ২৪ ডিসেম্বর ২০২৩, ১১:৪২ এএম

শেয়ার করুন:

loading/img

সারা বছরই সবজি পাওয়া যায় বাজারে। তবু শীতকালকে বলা হয় সবজির মৌসুম। শীতকালীন সবজির প্রতি মানুষের আগ্রহও থাকে বেশি। এই সময়ে বাজারে সবজির সরবরাহ সবচেয়ে বেশি থাকে। সবজির পদেও থাকে নানান বৈচিত্র্য। এরপরও সপ্তাহের ব্যবধানে সবজির দাম কেজিতে ১০ থেকে ২০ টাকা বেড়েছে। অথচ দাম এখন কমে আসার কথা। মাসের শুরুতে সবজিতে কিছুটা স্বস্তি থাকলেও ভরা মৌসুমে আবারও দাম চড়া। 

রোববার (২৪ ডিসেম্বর) শরীয়তপুরের বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, শীত মৌসুমের শুরুতে অধিকাংশ শীতকালীন সবজির দাম বেড়েছে। এছাড়া উচ্চমূল্যে বিক্রি হচ্ছে মাছ, মাংসসহ নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের দাম। 


বিজ্ঞাপন


শরীয়তপুরের বেশিরভাগ বাজার ঘুরে ও ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, পুরনো আলু বিক্রি হচ্ছে ৬০-৭০ টাকা কেজি, বাজারে নতুন আলু থাকলেও দাম কমছে না। অথচ এক সপ্তাহ আগেও এই পদের আলুর দাম ছিল ৫০-৬০ টাকা। মানভেদে নতুন আলু বিক্রি হচ্ছে ৭০-৮০ টাকা কেজি। গত সপ্তাহে নতুন আলু বিক্রি হয়েছিল ৬০-৮০ টাকায়। চড়া বাজারে নতুন পেঁয়াজের কেজি বিক্রি হচ্ছে ১১০ থেকে ১৩০ টাকা, পুরাতন পেঁয়াজ ১৪০ থেকে ১৬০ টাকা।

এছাড়া পাকা টমেটোর কেজি ৮০-৯০ টাকা বিক্রি হচ্ছে, কাঁচা টমেটো ৫০-৭০ টাকা। করলা ৬০-৭০ টাকা, বিভিন্ন জাতের বেগুন ৫০ থেকে ৮০ টাকা, মূলা ৪০-৫০ টাকা, পটল ৭০-৮০ টাকা ও পেঁপে ৩০-৪০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। আকারভেদে প্রতি পিস ফুলকপি ও বাঁধাকপির দাম ৪০ থেকে ৬০ টাকা, স্থানভেদে কিছুটা কম-বেশিও বিক্রি হচ্ছে। লাউ-কুমড়া আকার অনুযায়ী পিস ৫০ থেকে ৮০ টাকা।

চিকন্দি বাজারের সবজি বিক্রেতা মামুন শেখ ঢাকা মেইলকে বলেন, শীতের শুরুর দিকে সবজি বেশ ভালোই আসছিল। তাতে দামও কমেছিল। সরবরাহ কমায় পাইকারিতে সবজির দাম পড়ছে বেশি। স্বাভাবিকভাবে খুচরা বাজারে তার প্রভাব পড়েছে। তবে এ সময়ে দাম বাড়ার ফলে ক্রেতাদের কাছে জবাবদিহি করতে হচ্ছে। বেশ অস্বস্তিতে আছি।

আরও পড়ুন

এদিকে মাছের বাজারে গিয়ে দেখা গেছে, বাজারে মাছের দাম অনেকটা আগের সপ্তাহের মতোই স্থিতিশীল আছে। স্থানভেদে পাঙ্গাস বিক্রি হচ্ছে ২০০ থেকে ২২০ টাকা কেজি দরে। অনেকটা একই দামে বিক্রি হচ্ছে চাষের কই ও তেলাপিয়া। আকারভেদে রুই-কাতলার দাম হাঁকানো হচ্ছে ৪০০ থেকে ৬০০ টাকা কেজি এবং চিংড়ি ৬০০ থেকে ৮০০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। পোয়া মাছ ৩৫০ থেকে ৪০০, পাবদা মাছ ৪০০ থেকে ৪৫০। তবে নদীর মাছ ও হাওর-বাওরের মাছের দাম কিছুটা বেশি।

ডোমসার বাজার মাছ ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি হানিফ বেপারী ঢাকা মেইলকে বলেন, মাছের দাম স্থিতিশীল অবস্থায় বর্তমানে আছে। তবে নদীর ও হাওর-বাওরের মাছের দাম কিছুটা বেশি। কারণ হিসেবে তিনি বলেন, নদীতে জেলেরা কম মাছ পাচ্ছে। আবার হাওর-বাওরগুলো শুকিয়ে গেছে। তাই তাতেও মাছ কম পায় জেলেরা।

মাংসের বাজারে গিয়ে দেখা গেছে, ব্রয়লার মুরগির দাম প্রতি কেজি ১৯০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। স্থানভেদে ফার্মের মুরগি কিছুটা কম-বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া সোনালি ও লেয়ার জাতের মুরগির কেজি প্রকার ও স্থানভেদে ২৮০ থেকে ৩০০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। তবে গরুর মাংস দাম কমে ৬০০ থেকে ৬৫০ টাকা বিক্রি হচ্ছে, আবার ৭০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করতে দেখে গেছে কিছু দোকানে। খাসির মাংস আগের মতোই ১০৫০ থেকে ১১০০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে।

সদর উপজেলার ডোমসার কাঁচাবাজারের ক্রেতা তাকবির ঢাকা মেইলকে বলেন, অনেক দিন ধরে চাল-তেল বেশি দামে কিনতে হচ্ছে। শীতের সময় সবজির দাম একটু কম থাকে, এবার তাও বেশি। মাঝে শুধু গরুর মাংসের দামটা একটু কমেছে। তাও আমাদের বাজারে ৭০০ টাকা কেজি দর। আর মাছের তো একই দাম, কমার কোনো নামই নেই।

প্রতিনিধি/এইউ

 

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর