জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে নানাবিধ বিরূপ পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছে। এতে সবচেয়ে বেশি স্বাস্থ্যখাত ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে উল্লেখ করে স্বাস্থ্য খাতে ব্যবহৃত যন্ত্রপাতিও জলবায়ুবান্ধব হওয়া উচিত বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক। তিনি বলেন, অন্যথায় তা ক্ষতির কারণ হতে পারে।
মঙ্গলবার (৫ ডিসেম্বর) দুপুরে দুবাইয়ে অনুষ্ঠিত বিশ্ব জলবায়ু সম্মেলন-২০২৩ (কপ ২৮) এর বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এটিএসিএইচ আয়োজিত ‘ক্লাইমেট চেঞ্জ অ্যান্ড হেলথ: সাপ্লাই চেইন’ বিষয়ক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
বিজ্ঞাপন
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে বিশ্বব্যাপী স্বাস্থ্যখাত ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে। স্বাস্থ্য খাতে আমরা নানারকম যন্ত্রপাতি ব্যবহার করি। এইসব যন্ত্রপাতিও জলবায়ু বান্ধব হওয়া উচিত। তা না হলে চিকিৎসা সেবায় জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতিকর প্রভাব ফেলতে পারে।
এসময় জাহিদ মালেক বিগত দশকে বাংলাদেশের স্বাস্থ্যখাতে উন্নয়ন এবং জলবায়ুবান্ধব যন্ত্রপাতি কেনা, সাপ্লাই এবং ব্যবহারের কথা জানান। জলবায়ুবান্ধব স্বাস্থ্য ব্যবস্থা বিনির্মাণে বিজ্ঞানসম্মত এবং যেসব যন্ত্রপাতি জলবায়ুর ক্ষতি করে না সেসব যন্ত্রপাতি ব্যবহারের ওপর গুরুত্ব প্রদান করেন। একইসঙ্গে ডব্লিউএইচও এবং এটিএসিএইচকে জলবায়ুবান্ধব যন্ত্রপাতি সাপ্লাই এবং হাসপাতাল বিনির্মাণে বাংলাদেশকে সহযোগিতা করার আহ্বান জানান মন্ত্রী।
পরে বিকেলে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বাংলাদেশ প্যাভিলিয়নে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় কর্তৃক আয়োজিত ‘স্যালিনিটি কিউসড বাই ক্লাইমেট চেঞ্জ অ্যান্ড ইটস ইম্পেক্ট অন এনসিডিএস অ্যান্ড এসআরএইচআর’ শীর্ষক সাইড ইভেন্টে অংশগ্রহণ করেন। এতে সভাপতিত্ব করেন স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব মো. জাহাঙ্গীর আলম।
অনুষ্ঠানে মূলপ্রবন্ধ উপস্থাপনা করেন স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আহমেদুল কবির। তিনি তার উপস্থাপনায় জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বাংলাদেশের স্বাস্থ্যখাতে পরিবর্তন বিশেষ করে উপকূলীয় অঞ্চলে লবণাক্ততা এবং এর প্রভাবে এসব এলাকায় অসংক্রামক রোগের প্রাদুর্ভাব বেড়ে যাচ্ছে উল্লেখ করেন। এছাড়া এর প্রভাবে গর্ভবতী মায়েদের নানা রকম সমস্যা হয়, যার কারণে কোস্টাল এলাকায় মাতৃমৃত্যু বেড়ে যায় বলে জানান।