সোমবার, ১৪ এপ্রিল, ২০২৫, ঢাকা

ঢাকা মেইল

দেশে প্রায় ৪ কোটি মানুষ ভুগছেন স্লিপ অ্যাপনিয়াতে

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ০৩:৩৪ পিএম

শেয়ার করুন:

loading/img

দেশের প্রায় চার কোটি মানুষ স্লিপ অ্যাপনিয়াতে আক্রান্ত বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ চিকিৎসা রিসার্চ কাউন্সিলের বিশেষজ্ঞরা। এটি দেশের বিরাট জনগোষ্ঠীর ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, হার্ট ফেইলিউর ও স্ট্রোকের কারণ বলেও তারা জানান। 

বুধবার (৯ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর মহাখালীস্থ বাংলাদেশ মেডিকেল রিসার্চ কাউন্সিল (বিএমআরসি) ভবনে আয়োজিত স্লিপ অ্যাপনিয়া নিয়ে সচেতনতামূলক সেমিনারে আলোচকরা এসব তথ্য জানান।


বিজ্ঞাপন


আলোচকরা বলেন, স্লিপ অ্যাপনিয়া নামটি দেশের মানুষের কাছে নতুন হলেও। এদেশের প্রায় ৪ কোটি মানুষ রোগটিতে ভুগছেন। এটি মূলত ঘুমন্ত অবস্থায় দেহে অক্সিজেন ঘাটতি জনিত সমস্যা। ঘুমের মধ্যে দেহে অক্সিজেনের কারণে স্লিপ অ্যাপনিয়া রোগীরা নানাবিধ স্থায়ী জটিল রোগে ভুগেন। অধিকাংশ রোগীরা অনিয়ন্ত্রিত উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস, হৃদরোগসহ নানা মারাত্মক স্থায়ী রোগে ভুগেন।

ঘুমের মধ্যে নাক ডাকা এবং অতিরিক্ত নড়াচড়া স্লিপ অ্যাপনিয়া রোগের অন্যতম প্রধান লক্ষণ। এই রোগীরা অধিকাংশক্ষেত্রে সকালে মাথা ব্যাথার সমস্যায় ভুগেন এবং সারাদিন ঘুম ঘুম ভাব অনুভব করেন। ফলে তাদের কর্মজীবনে এর বিরূপ প্রভাব পড়ে। অনেক ক্ষেত্রে রোগীদের একাধিক ডায়াবেটিস ও উচ্চরক্তচাপের ওষুধ গ্রহণ করেও তা নিয়ন্ত্রণে আনতে পারেন না। বর্তমানে দেশেই এই রোগের শনাক্তকরণ ও চিকিৎসার ব্যবস্থা রয়েছে।

লক্ষণের বিষয়ে সকলকে সতর্ক হওয়ার আহ্বান জানিয়ে তারা বলেন, ঘুমের মধ্যে নাক ডাকা এবং অতিরিক্ত নড়াচড়া এই রোগের অন্যতম প্রধান লক্ষণ। এই রোগীরা অধিকাংশক্ষেত্রে সকালে মাথাব্যথার সমস্যায় ভুগেন এবং সারাদিন ঘুম ঘুম ভাব অনুভব করেন। ফলে তাদের কর্মজীবনে এর বিরূপ প্রভাব পড়ে। অনেক ক্ষেত্রে রোগীদের একাধিক ডায়াবেটিস ও উচ্চরক্তচাপের ওষুধ গ্রহণ করেও তা নিয়ন্ত্রণে আনতে পারেন না। বর্তমানে দেশেই এই রোগের শনাক্তকরণ ও চিকিৎসার ব্যবস্থা রয়েছে।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে পরিকল্পনা মন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, নামটা পরিচিত হলেও এ সম্পর্কে ধারণা কম ছিল। আজকে পরিপূর্ণভাবে জানতে পারলাম। নন-মেডিকেলরা সর্বদায় আপনাদের (চিকিৎসক) সহায়তার জন্যে তাকিয়ে। আপনারা আপনাদের জ্ঞান ও গবেষণার মাধ্যমে স্বাস্থ্যগত সমস্যার শনাক্ত ও সমাধানের মাধ্যমে মানুষের জীবনকে আরও সহজ করে দেবেন।


বিজ্ঞাপন


স্বাস্থ্যখাতকে প্রধানমন্ত্রী সবচেয়ে গুরুত্ব দিচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, স্বাস্থ্যখাতের উন্নয়নে সকল সম্ভাব্য ক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রী হাত দিয়েছেন। তিনি গবেষণায় গুরুত্ব দেন। পশ্চিমারা পারলে আমরা কেন পারবো না, এটা তার প্রশ্ন। তিনি মেডিকেল খাতে সব থেকে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছেন কারণ আমাদের এইখাতে অনেক ঘাটতি রয়েছে। সরকারের আন্তরিক প্রচেষ্টায় আমরা তা বহুলাংশেই কাটিয়ে উঠেছি।

mannan

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ বলেন, কারো স্লিপ অ্যাপনিয়া আছে কি না তা সেই ব্যক্তি বলতে পারেন না। কেউ নাক ডাকছে কিনা তা পাশে যে ঘুমায় সে বলতে পারবে। যদি অধিক নাক ডাকার সমস্যা থাকে তবে টেস্ট করতে হবে। আমাদের দেশে বিএসএমএমইউসহ কয়েকটি হাসপাতালে এ রোগ পরীক্ষার ল্যাব রয়েছে। সরকার জেলা পর্যায়েও ল্যাব তৈরির পরিকল্পনা করছে। সঠিকভাবে শনাক্ত ও চিকিৎসার মাধ্যমে এ রোগ থেকে সুস্থতা সম্ভব।

সভাপতির বক্তব্যে কমিউনিটি ক্লিনিক স্বাস্থ্য সহায়তা ট্রাস্টের সভাপতি ও বিএমআরসি চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. সৈয়দ মোদাচ্ছের আলী বলেন, আমরা এই রোগকে বোবা ধরা হিসেবে জানতাম। এখন আমরা জানতে পেরেছি সে ব্যক্তি অক্সিজেন পর্যাপ্ত পাচ্ছে না, ফলে এই সমস্যা দেখা দিয়েছে। এরপর আমরা এ রোগের শনাক্তকরণ ও চিকিৎসার ব্যাপারে জানতে পারলাম। এমনকি এর সার্জারিও রয়েছে। বিএমআরসি এবং সংশ্লিষ্টরা এটা নিয়ে কাজ করছেন। এতে দেশবাসী উপকৃত হবে বলেই আশা করি।

এমএইচ/এএস

দেশের প্রায় চার কোটি মানুষ স্লিপ অ্যাপনিয়াতে আক্রান্ত বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ চিকিৎসা রিসার্চ কাউন্সিলের বিশেষজ্ঞরা। এটি দেশের বিরাট জনগোষ্ঠীর ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, হার্ট ফেইলিউর ও স্ট্রোকের কারণ বলেও তারা জানান। 

বুধবার (৯ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর মহাখালীস্থ বাংলাদেশ মেডিকেল রিসার্চ কাউন্সিল (বিএমআরসি) ভবনে আয়োজিত স্লিপ অ্যাপনিয়া নিয়ে সচেতনতামূলক সেমিনারে আলোচকরা এসব তথ্য জানান।

আলোচকরা বলেন, স্লিপ অ্যাপনিয়া নামটি দেশের মানুষের কাছে নতুন হলেও। এদেশের প্রায় ৪ কোটি মানুষ রোগটিতে ভুগছেন। এটি মূলত ঘুমন্ত অবস্থায় দেহে অক্সিজেন ঘাটতি জনিত সমস্যা। ঘুমের মধ্যে দেহে অক্সিজেনের কারণে স্লিপ অ্যাপনিয়া রোগীরা নানাবিধ স্থায়ী জটিল রোগে ভুগেন। অধিকাংশ রোগীরা অনিয়ন্ত্রিত উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস, হৃদরোগসহ নানা মারাত্মক স্থায়ী রোগে ভুগেন।

ঘুমের মধ্যে নাক ডাকা এবং অতিরিক্ত নড়াচড়া স্লিপ অ্যাপনিয়া রোগের অন্যতম প্রধান লক্ষণ। এই রোগীরা অধিকাংশক্ষেত্রে সকালে মাথা ব্যাথার সমস্যায় ভুগেন এবং সারাদিন ঘুম ঘুম ভাব অনুভব করেন। ফলে তাদের কর্মজীবনে এর বিরূপ প্রভাব পড়ে। অনেক ক্ষেত্রে রোগীদের একাধিক ডায়াবেটিস ও উচ্চরক্তচাপের ওষুধ গ্রহণ করেও তা নিয়ন্ত্রণে আনতে পারেন না। বর্তমানে দেশেই এই রোগের শনাক্তকরণ ও চিকিৎসার ব্যবস্থা রয়েছে।

লক্ষণের বিষয়ে সকলকে সতর্ক হওয়ার আহ্বান জানিয়ে তারা বলেন, ঘুমের মধ্যে নাক ডাকা এবং অতিরিক্ত নড়াচড়া এই রোগের অন্যতম প্রধান লক্ষণ। এই রোগীরা অধিকাংশক্ষেত্রে সকালে মাথাব্যথার সমস্যায় ভুগেন এবং সারাদিন ঘুম ঘুম ভাব অনুভব করেন। ফলে তাদের কর্মজীবনে এর বিরূপ প্রভাব পড়ে। অনেক ক্ষেত্রে রোগীদের একাধিক ডায়াবেটিস ও উচ্চরক্তচাপের ওষুধ গ্রহণ করেও তা নিয়ন্ত্রণে আনতে পারেন না। বর্তমানে দেশেই এই রোগের শনাক্তকরণ ও চিকিৎসার ব্যবস্থা রয়েছে।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে পরিকল্পনা মন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, নামটা পরিচিত হলেও এ সম্পর্কে ধারণা কম ছিল। আজকে পরিপূর্ণভাবে জানতে পারলাম। নন-মেডিকেলরা সর্বদায় আপনাদের (চিকিৎসক) সহায়তার জন্যে তাকিয়ে। আপনারা আপনাদের জ্ঞান ও গবেষণার মাধ্যমে স্বাস্থ্যগত সমস্যার শনাক্ত ও সমাধানের মাধ্যমে মানুষের জীবনকে আরও সহজ করে দেবেন।

স্বাস্থ্যখাতকে প্রধানমন্ত্রী সবচেয়ে গুরুত্ব দিচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, স্বাস্থ্যখাতের উন্নয়নে সকল সম্ভাব্য ক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রী হাত দিয়েছেন। তিনি গবেষণায় গুরুত্ব দেন। পশ্চিমারা পারলে আমরা কেন পারবো না, এটা তার প্রশ্ন। তিনি মেডিকেল খাতে সব থেকে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছেন কারণ আমাদের এইখাতে অনেক ঘাটতি রয়েছে। সরকারের আন্তরিক প্রচেষ্টায় আমরা তা বহুলাংশেই কাটিয়ে উঠেছি।

mannan

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ বলেন, কারো স্লিপ অ্যাপনিয়া আছে কি না তা সেই ব্যক্তি বলতে পারেন না। কেউ নাক ডাকছে কিনা তা পাশে যে ঘুমায় সে বলতে পারবে। যদি অধিক নাক ডাকার সমস্যা থাকে তবে টেস্ট করতে হবে। আমাদের দেশে বিএসএমএমইউসহ কয়েকটি হাসপাতালে এ রোগ পরীক্ষার ল্যাব রয়েছে। সরকার জেলা পর্যায়েও ল্যাব তৈরির পরিকল্পনা করছে। সঠিকভাবে শনাক্ত ও চিকিৎসার মাধ্যমে এ রোগ থেকে সুস্থতা সম্ভব।

সভাপতির বক্তব্যে কমিউনিটি ক্লিনিক স্বাস্থ্য সহায়তা ট্রাস্টের সভাপতি ও বিএমআরসি চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. সৈয়দ মোদাচ্ছের আলী বলেন, আমরা এই রোগকে বোবা ধরা হিসেবে জানতাম। এখন আমরা জানতে পেরেছি সে ব্যক্তি অক্সিজেন পর্যাপ্ত পাচ্ছে না, ফলে এই সমস্যা দেখা দিয়েছে। এরপর আমরা এ রোগের শনাক্তকরণ ও চিকিৎসার ব্যাপারে জানতে পারলাম। এমনকি এর সার্জারিও রয়েছে। বিএমআরসি এবং সংশ্লিষ্টরা এটা নিয়ে কাজ করছেন। এতে দেশবাসী উপকৃত হবে বলেই আশা করি।

এমএইচ/এএস

দেশের প্রায় চার কোটি মানুষ স্লিপ অ্যাপনিয়াতে আক্রান্ত বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ চিকিৎসা রিসার্চ কাউন্সিলের বিশেষজ্ঞরা। এটি দেশের বিরাট জনগোষ্ঠীর ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, হার্ট ফেইলিউর ও স্ট্রোকের কারণ বলেও তারা জানান। 

বুধবার (৯ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর মহাখালীস্থ বাংলাদেশ মেডিকেল রিসার্চ কাউন্সিল (বিএমআরসি) ভবনে আয়োজিত স্লিপ অ্যাপনিয়া নিয়ে সচেতনতামূলক সেমিনারে আলোচকরা এসব তথ্য জানান।

আলোচকরা বলেন, স্লিপ অ্যাপনিয়া নামটি দেশের মানুষের কাছে নতুন হলেও। এদেশের প্রায় ৪ কোটি মানুষ রোগটিতে ভুগছেন। এটি মূলত ঘুমন্ত অবস্থায় দেহে অক্সিজেন ঘাটতি জনিত সমস্যা। ঘুমের মধ্যে দেহে অক্সিজেনের কারণে স্লিপ অ্যাপনিয়া রোগীরা নানাবিধ স্থায়ী জটিল রোগে ভুগেন। অধিকাংশ রোগীরা অনিয়ন্ত্রিত উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস, হৃদরোগসহ নানা মারাত্মক স্থায়ী রোগে ভুগেন।

ঘুমের মধ্যে নাক ডাকা এবং অতিরিক্ত নড়াচড়া স্লিপ অ্যাপনিয়া রোগের অন্যতম প্রধান লক্ষণ। এই রোগীরা অধিকাংশক্ষেত্রে সকালে মাথা ব্যাথার সমস্যায় ভুগেন এবং সারাদিন ঘুম ঘুম ভাব অনুভব করেন। ফলে তাদের কর্মজীবনে এর বিরূপ প্রভাব পড়ে। অনেক ক্ষেত্রে রোগীদের একাধিক ডায়াবেটিস ও উচ্চরক্তচাপের ওষুধ গ্রহণ করেও তা নিয়ন্ত্রণে আনতে পারেন না। বর্তমানে দেশেই এই রোগের শনাক্তকরণ ও চিকিৎসার ব্যবস্থা রয়েছে।

লক্ষণের বিষয়ে সকলকে সতর্ক হওয়ার আহ্বান জানিয়ে তারা বলেন, ঘুমের মধ্যে নাক ডাকা এবং অতিরিক্ত নড়াচড়া এই রোগের অন্যতম প্রধান লক্ষণ। এই রোগীরা অধিকাংশক্ষেত্রে সকালে মাথাব্যথার সমস্যায় ভুগেন এবং সারাদিন ঘুম ঘুম ভাব অনুভব করেন। ফলে তাদের কর্মজীবনে এর বিরূপ প্রভাব পড়ে। অনেক ক্ষেত্রে রোগীদের একাধিক ডায়াবেটিস ও উচ্চরক্তচাপের ওষুধ গ্রহণ করেও তা নিয়ন্ত্রণে আনতে পারেন না। বর্তমানে দেশেই এই রোগের শনাক্তকরণ ও চিকিৎসার ব্যবস্থা রয়েছে।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে পরিকল্পনা মন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, নামটা পরিচিত হলেও এ সম্পর্কে ধারণা কম ছিল। আজকে পরিপূর্ণভাবে জানতে পারলাম। নন-মেডিকেলরা সর্বদায় আপনাদের (চিকিৎসক) সহায়তার জন্যে তাকিয়ে। আপনারা আপনাদের জ্ঞান ও গবেষণার মাধ্যমে স্বাস্থ্যগত সমস্যার শনাক্ত ও সমাধানের মাধ্যমে মানুষের জীবনকে আরও সহজ করে দেবেন।

স্বাস্থ্যখাতকে প্রধানমন্ত্রী সবচেয়ে গুরুত্ব দিচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, স্বাস্থ্যখাতের উন্নয়নে সকল সম্ভাব্য ক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রী হাত দিয়েছেন। তিনি গবেষণায় গুরুত্ব দেন। পশ্চিমারা পারলে আমরা কেন পারবো না, এটা তার প্রশ্ন। তিনি মেডিকেল খাতে সব থেকে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছেন কারণ আমাদের এইখাতে অনেক ঘাটতি রয়েছে। সরকারের আন্তরিক প্রচেষ্টায় আমরা তা বহুলাংশেই কাটিয়ে উঠেছি।

mannan

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ বলেন, কারো স্লিপ অ্যাপনিয়া আছে কি না তা সেই ব্যক্তি বলতে পারেন না। কেউ নাক ডাকছে কিনা তা পাশে যে ঘুমায় সে বলতে পারবে। যদি অধিক নাক ডাকার সমস্যা থাকে তবে টেস্ট করতে হবে। আমাদের দেশে বিএসএমএমইউসহ কয়েকটি হাসপাতালে এ রোগ পরীক্ষার ল্যাব রয়েছে। সরকার জেলা পর্যায়েও ল্যাব তৈরির পরিকল্পনা করছে। সঠিকভাবে শনাক্ত ও চিকিৎসার মাধ্যমে এ রোগ থেকে সুস্থতা সম্ভব।

সভাপতির বক্তব্যে কমিউনিটি ক্লিনিক স্বাস্থ্য সহায়তা ট্রাস্টের সভাপতি ও বিএমআরসি চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. সৈয়দ মোদাচ্ছের আলী বলেন, আমরা এই রোগকে বোবা ধরা হিসেবে জানতাম। এখন আমরা জানতে পেরেছি সে ব্যক্তি অক্সিজেন পর্যাপ্ত পাচ্ছে না, ফলে এই সমস্যা দেখা দিয়েছে। এরপর আমরা এ রোগের শনাক্তকরণ ও চিকিৎসার ব্যাপারে জানতে পারলাম। এমনকি এর সার্জারিও রয়েছে। বিএমআরসি এবং সংশ্লিষ্টরা এটা নিয়ে কাজ করছেন। এতে দেশবাসী উপকৃত হবে বলেই আশা করি।

এমএইচ/এএস

দেশের প্রায় চার কোটি মানুষ স্লিপ অ্যাপনিয়াতে আক্রান্ত বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ চিকিৎসা রিসার্চ কাউন্সিলের বিশেষজ্ঞরা। এটি দেশের বিরাট জনগোষ্ঠীর ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, হার্ট ফেইলিউর ও স্ট্রোকের কারণ বলেও তারা জানান। 

বুধবার (৯ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর মহাখালীস্থ বাংলাদেশ মেডিকেল রিসার্চ কাউন্সিল (বিএমআরসি) ভবনে আয়োজিত স্লিপ অ্যাপনিয়া নিয়ে সচেতনতামূলক সেমিনারে আলোচকরা এসব তথ্য জানান।

আলোচকরা বলেন, স্লিপ অ্যাপনিয়া নামটি দেশের মানুষের কাছে নতুন হলেও। এদেশের প্রায় ৪ কোটি মানুষ রোগটিতে ভুগছেন। এটি মূলত ঘুমন্ত অবস্থায় দেহে অক্সিজেন ঘাটতি জনিত সমস্যা। ঘুমের মধ্যে দেহে অক্সিজেনের কারণে স্লিপ অ্যাপনিয়া রোগীরা নানাবিধ স্থায়ী জটিল রোগে ভুগেন। অধিকাংশ রোগীরা অনিয়ন্ত্রিত উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস, হৃদরোগসহ নানা মারাত্মক স্থায়ী রোগে ভুগেন।

ঘুমের মধ্যে নাক ডাকা এবং অতিরিক্ত নড়াচড়া স্লিপ অ্যাপনিয়া রোগের অন্যতম প্রধান লক্ষণ। এই রোগীরা অধিকাংশক্ষেত্রে সকালে মাথা ব্যাথার সমস্যায় ভুগেন এবং সারাদিন ঘুম ঘুম ভাব অনুভব করেন। ফলে তাদের কর্মজীবনে এর বিরূপ প্রভাব পড়ে। অনেক ক্ষেত্রে রোগীদের একাধিক ডায়াবেটিস ও উচ্চরক্তচাপের ওষুধ গ্রহণ করেও তা নিয়ন্ত্রণে আনতে পারেন না। বর্তমানে দেশেই এই রোগের শনাক্তকরণ ও চিকিৎসার ব্যবস্থা রয়েছে।

লক্ষণের বিষয়ে সকলকে সতর্ক হওয়ার আহ্বান জানিয়ে তারা বলেন, ঘুমের মধ্যে নাক ডাকা এবং অতিরিক্ত নড়াচড়া এই রোগের অন্যতম প্রধান লক্ষণ। এই রোগীরা অধিকাংশক্ষেত্রে সকালে মাথাব্যথার সমস্যায় ভুগেন এবং সারাদিন ঘুম ঘুম ভাব অনুভব করেন। ফলে তাদের কর্মজীবনে এর বিরূপ প্রভাব পড়ে। অনেক ক্ষেত্রে রোগীদের একাধিক ডায়াবেটিস ও উচ্চরক্তচাপের ওষুধ গ্রহণ করেও তা নিয়ন্ত্রণে আনতে পারেন না। বর্তমানে দেশেই এই রোগের শনাক্তকরণ ও চিকিৎসার ব্যবস্থা রয়েছে।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে পরিকল্পনা মন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, নামটা পরিচিত হলেও এ সম্পর্কে ধারণা কম ছিল। আজকে পরিপূর্ণভাবে জানতে পারলাম। নন-মেডিকেলরা সর্বদায় আপনাদের (চিকিৎসক) সহায়তার জন্যে তাকিয়ে। আপনারা আপনাদের জ্ঞান ও গবেষণার মাধ্যমে স্বাস্থ্যগত সমস্যার শনাক্ত ও সমাধানের মাধ্যমে মানুষের জীবনকে আরও সহজ করে দেবেন।

স্বাস্থ্যখাতকে প্রধানমন্ত্রী সবচেয়ে গুরুত্ব দিচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, স্বাস্থ্যখাতের উন্নয়নে সকল সম্ভাব্য ক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রী হাত দিয়েছেন। তিনি গবেষণায় গুরুত্ব দেন। পশ্চিমারা পারলে আমরা কেন পারবো না, এটা তার প্রশ্ন। তিনি মেডিকেল খাতে সব থেকে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছেন কারণ আমাদের এইখাতে অনেক ঘাটতি রয়েছে। সরকারের আন্তরিক প্রচেষ্টায় আমরা তা বহুলাংশেই কাটিয়ে উঠেছি।

mannan

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ বলেন, কারো স্লিপ অ্যাপনিয়া আছে কি না তা সেই ব্যক্তি বলতে পারেন না। কেউ নাক ডাকছে কিনা তা পাশে যে ঘুমায় সে বলতে পারবে। যদি অধিক নাক ডাকার সমস্যা থাকে তবে টেস্ট করতে হবে। আমাদের দেশে বিএসএমএমইউসহ কয়েকটি হাসপাতালে এ রোগ পরীক্ষার ল্যাব রয়েছে। সরকার জেলা পর্যায়েও ল্যাব তৈরির পরিকল্পনা করছে। সঠিকভাবে শনাক্ত ও চিকিৎসার মাধ্যমে এ রোগ থেকে সুস্থতা সম্ভব।

সভাপতির বক্তব্যে কমিউনিটি ক্লিনিক স্বাস্থ্য সহায়তা ট্রাস্টের সভাপতি ও বিএমআরসি চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. সৈয়দ মোদাচ্ছের আলী বলেন, আমরা এই রোগকে বোবা ধরা হিসেবে জানতাম। এখন আমরা জানতে পেরেছি সে ব্যক্তি অক্সিজেন পর্যাপ্ত পাচ্ছে না, ফলে এই সমস্যা দেখা দিয়েছে। এরপর আমরা এ রোগের শনাক্তকরণ ও চিকিৎসার ব্যাপারে জানতে পারলাম। এমনকি এর সার্জারিও রয়েছে। বিএমআরসি এবং সংশ্লিষ্টরা এটা নিয়ে কাজ করছেন। এতে দেশবাসী উপকৃত হবে বলেই আশা করি।

এমএইচ/এএস

দেশের প্রায় চার কোটি মানুষ স্লিপ অ্যাপনিয়াতে আক্রান্ত বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ চিকিৎসা রিসার্চ কাউন্সিলের বিশেষজ্ঞরা। এটি দেশের বিরাট জনগোষ্ঠীর ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, হার্ট ফেইলিউর ও স্ট্রোকের কারণ বলেও তারা জানান। 

বুধবার (৯ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর মহাখালীস্থ বাংলাদেশ মেডিকেল রিসার্চ কাউন্সিল (বিএমআরসি) ভবনে আয়োজিত স্লিপ অ্যাপনিয়া নিয়ে সচেতনতামূলক সেমিনারে আলোচকরা এসব তথ্য জানান।

আলোচকরা বলেন, স্লিপ অ্যাপনিয়া নামটি দেশের মানুষের কাছে নতুন হলেও। এদেশের প্রায় ৪ কোটি মানুষ রোগটিতে ভুগছেন। এটি মূলত ঘুমন্ত অবস্থায় দেহে অক্সিজেন ঘাটতি জনিত সমস্যা। ঘুমের মধ্যে দেহে অক্সিজেনের কারণে স্লিপ অ্যাপনিয়া রোগীরা নানাবিধ স্থায়ী জটিল রোগে ভুগেন। অধিকাংশ রোগীরা অনিয়ন্ত্রিত উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস, হৃদরোগসহ নানা মারাত্মক স্থায়ী রোগে ভুগেন।

ঘুমের মধ্যে নাক ডাকা এবং অতিরিক্ত নড়াচড়া স্লিপ অ্যাপনিয়া রোগের অন্যতম প্রধান লক্ষণ। এই রোগীরা অধিকাংশক্ষেত্রে সকালে মাথা ব্যাথার সমস্যায় ভুগেন এবং সারাদিন ঘুম ঘুম ভাব অনুভব করেন। ফলে তাদের কর্মজীবনে এর বিরূপ প্রভাব পড়ে। অনেক ক্ষেত্রে রোগীদের একাধিক ডায়াবেটিস ও উচ্চরক্তচাপের ওষুধ গ্রহণ করেও তা নিয়ন্ত্রণে আনতে পারেন না। বর্তমানে দেশেই এই রোগের শনাক্তকরণ ও চিকিৎসার ব্যবস্থা রয়েছে।

লক্ষণের বিষয়ে সকলকে সতর্ক হওয়ার আহ্বান জানিয়ে তারা বলেন, ঘুমের মধ্যে নাক ডাকা এবং অতিরিক্ত নড়াচড়া এই রোগের অন্যতম প্রধান লক্ষণ। এই রোগীরা অধিকাংশক্ষেত্রে সকালে মাথাব্যথার সমস্যায় ভুগেন এবং সারাদিন ঘুম ঘুম ভাব অনুভব করেন। ফলে তাদের কর্মজীবনে এর বিরূপ প্রভাব পড়ে। অনেক ক্ষেত্রে রোগীদের একাধিক ডায়াবেটিস ও উচ্চরক্তচাপের ওষুধ গ্রহণ করেও তা নিয়ন্ত্রণে আনতে পারেন না। বর্তমানে দেশেই এই রোগের শনাক্তকরণ ও চিকিৎসার ব্যবস্থা রয়েছে।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে পরিকল্পনা মন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, নামটা পরিচিত হলেও এ সম্পর্কে ধারণা কম ছিল। আজকে পরিপূর্ণভাবে জানতে পারলাম। নন-মেডিকেলরা সর্বদায় আপনাদের (চিকিৎসক) সহায়তার জন্যে তাকিয়ে। আপনারা আপনাদের জ্ঞান ও গবেষণার মাধ্যমে স্বাস্থ্যগত সমস্যার শনাক্ত ও সমাধানের মাধ্যমে মানুষের জীবনকে আরও সহজ করে দেবেন।

স্বাস্থ্যখাতকে প্রধানমন্ত্রী সবচেয়ে গুরুত্ব দিচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, স্বাস্থ্যখাতের উন্নয়নে সকল সম্ভাব্য ক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রী হাত দিয়েছেন। তিনি গবেষণায় গুরুত্ব দেন। পশ্চিমারা পারলে আমরা কেন পারবো না, এটা তার প্রশ্ন। তিনি মেডিকেল খাতে সব থেকে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছেন কারণ আমাদের এইখাতে অনেক ঘাটতি রয়েছে। সরকারের আন্তরিক প্রচেষ্টায় আমরা তা বহুলাংশেই কাটিয়ে উঠেছি।

mannan

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ বলেন, কারো স্লিপ অ্যাপনিয়া আছে কি না তা সেই ব্যক্তি বলতে পারেন না। কেউ নাক ডাকছে কিনা তা পাশে যে ঘুমায় সে বলতে পারবে। যদি অধিক নাক ডাকার সমস্যা থাকে তবে টেস্ট করতে হবে। আমাদের দেশে বিএসএমএমইউসহ কয়েকটি হাসপাতালে এ রোগ পরীক্ষার ল্যাব রয়েছে। সরকার জেলা পর্যায়েও ল্যাব তৈরির পরিকল্পনা করছে। সঠিকভাবে শনাক্ত ও চিকিৎসার মাধ্যমে এ রোগ থেকে সুস্থতা সম্ভব।

সভাপতির বক্তব্যে কমিউনিটি ক্লিনিক স্বাস্থ্য সহায়তা ট্রাস্টের সভাপতি ও বিএমআরসি চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. সৈয়দ মোদাচ্ছের আলী বলেন, আমরা এই রোগকে বোবা ধরা হিসেবে জানতাম। এখন আমরা জানতে পেরেছি সে ব্যক্তি অক্সিজেন পর্যাপ্ত পাচ্ছে না, ফলে এই সমস্যা দেখা দিয়েছে। এরপর আমরা এ রোগের শনাক্তকরণ ও চিকিৎসার ব্যাপারে জানতে পারলাম। এমনকি এর সার্জারিও রয়েছে। বিএমআরসি এবং সংশ্লিষ্টরা এটা নিয়ে কাজ করছেন। এতে দেশবাসী উপকৃত হবে বলেই আশা করি।

এমএইচ/এএস

দেশের প্রায় চার কোটি মানুষ স্লিপ অ্যাপনিয়াতে আক্রান্ত বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ চিকিৎসা রিসার্চ কাউন্সিলের বিশেষজ্ঞরা। এটি দেশের বিরাট জনগোষ্ঠীর ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, হার্ট ফেইলিউর ও স্ট্রোকের কারণ বলেও তারা জানান। 

বুধবার (৯ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর মহাখালীস্থ বাংলাদেশ মেডিকেল রিসার্চ কাউন্সিল (বিএমআরসি) ভবনে আয়োজিত স্লিপ অ্যাপনিয়া নিয়ে সচেতনতামূলক সেমিনারে আলোচকরা এসব তথ্য জানান।

আলোচকরা বলেন, স্লিপ অ্যাপনিয়া নামটি দেশের মানুষের কাছে নতুন হলেও। এদেশের প্রায় ৪ কোটি মানুষ রোগটিতে ভুগছেন। এটি মূলত ঘুমন্ত অবস্থায় দেহে অক্সিজেন ঘাটতি জনিত সমস্যা। ঘুমের মধ্যে দেহে অক্সিজেনের কারণে স্লিপ অ্যাপনিয়া রোগীরা নানাবিধ স্থায়ী জটিল রোগে ভুগেন। অধিকাংশ রোগীরা অনিয়ন্ত্রিত উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস, হৃদরোগসহ নানা মারাত্মক স্থায়ী রোগে ভুগেন।

ঘুমের মধ্যে নাক ডাকা এবং অতিরিক্ত নড়াচড়া স্লিপ অ্যাপনিয়া রোগের অন্যতম প্রধান লক্ষণ। এই রোগীরা অধিকাংশক্ষেত্রে সকালে মাথা ব্যাথার সমস্যায় ভুগেন এবং সারাদিন ঘুম ঘুম ভাব অনুভব করেন। ফলে তাদের কর্মজীবনে এর বিরূপ প্রভাব পড়ে। অনেক ক্ষেত্রে রোগীদের একাধিক ডায়াবেটিস ও উচ্চরক্তচাপের ওষুধ গ্রহণ করেও তা নিয়ন্ত্রণে আনতে পারেন না। বর্তমানে দেশেই এই রোগের শনাক্তকরণ ও চিকিৎসার ব্যবস্থা রয়েছে।

লক্ষণের বিষয়ে সকলকে সতর্ক হওয়ার আহ্বান জানিয়ে তারা বলেন, ঘুমের মধ্যে নাক ডাকা এবং অতিরিক্ত নড়াচড়া এই রোগের অন্যতম প্রধান লক্ষণ। এই রোগীরা অধিকাংশক্ষেত্রে সকালে মাথাব্যথার সমস্যায় ভুগেন এবং সারাদিন ঘুম ঘুম ভাব অনুভব করেন। ফলে তাদের কর্মজীবনে এর বিরূপ প্রভাব পড়ে। অনেক ক্ষেত্রে রোগীদের একাধিক ডায়াবেটিস ও উচ্চরক্তচাপের ওষুধ গ্রহণ করেও তা নিয়ন্ত্রণে আনতে পারেন না। বর্তমানে দেশেই এই রোগের শনাক্তকরণ ও চিকিৎসার ব্যবস্থা রয়েছে।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে পরিকল্পনা মন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, নামটা পরিচিত হলেও এ সম্পর্কে ধারণা কম ছিল। আজকে পরিপূর্ণভাবে জানতে পারলাম। নন-মেডিকেলরা সর্বদায় আপনাদের (চিকিৎসক) সহায়তার জন্যে তাকিয়ে। আপনারা আপনাদের জ্ঞান ও গবেষণার মাধ্যমে স্বাস্থ্যগত সমস্যার শনাক্ত ও সমাধানের মাধ্যমে মানুষের জীবনকে আরও সহজ করে দেবেন।

স্বাস্থ্যখাতকে প্রধানমন্ত্রী সবচেয়ে গুরুত্ব দিচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, স্বাস্থ্যখাতের উন্নয়নে সকল সম্ভাব্য ক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রী হাত দিয়েছেন। তিনি গবেষণায় গুরুত্ব দেন। পশ্চিমারা পারলে আমরা কেন পারবো না, এটা তার প্রশ্ন। তিনি মেডিকেল খাতে সব থেকে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছেন কারণ আমাদের এইখাতে অনেক ঘাটতি রয়েছে। সরকারের আন্তরিক প্রচেষ্টায় আমরা তা বহুলাংশেই কাটিয়ে উঠেছি।

mannan

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ বলেন, কারো স্লিপ অ্যাপনিয়া আছে কি না তা সেই ব্যক্তি বলতে পারেন না। কেউ নাক ডাকছে কিনা তা পাশে যে ঘুমায় সে বলতে পারবে। যদি অধিক নাক ডাকার সমস্যা থাকে তবে টেস্ট করতে হবে। আমাদের দেশে বিএসএমএমইউসহ কয়েকটি হাসপাতালে এ রোগ পরীক্ষার ল্যাব রয়েছে। সরকার জেলা পর্যায়েও ল্যাব তৈরির পরিকল্পনা করছে। সঠিকভাবে শনাক্ত ও চিকিৎসার মাধ্যমে এ রোগ থেকে সুস্থতা সম্ভব।

সভাপতির বক্তব্যে কমিউনিটি ক্লিনিক স্বাস্থ্য সহায়তা ট্রাস্টের সভাপতি ও বিএমআরসি চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. সৈয়দ মোদাচ্ছের আলী বলেন, আমরা এই রোগকে বোবা ধরা হিসেবে জানতাম। এখন আমরা জানতে পেরেছি সে ব্যক্তি অক্সিজেন পর্যাপ্ত পাচ্ছে না, ফলে এই সমস্যা দেখা দিয়েছে। এরপর আমরা এ রোগের শনাক্তকরণ ও চিকিৎসার ব্যাপারে জানতে পারলাম। এমনকি এর সার্জারিও রয়েছে। বিএমআরসি এবং সংশ্লিষ্টরা এটা নিয়ে কাজ করছেন। এতে দেশবাসী উপকৃত হবে বলেই আশা করি।

এমএইচ/এএস

দেশের প্রায় চার কোটি মানুষ স্লিপ অ্যাপনিয়াতে আক্রান্ত বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ চিকিৎসা রিসার্চ কাউন্সিলের বিশেষজ্ঞরা। এটি দেশের বিরাট জনগোষ্ঠীর ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, হার্ট ফেইলিউর ও স্ট্রোকের কারণ বলেও তারা জানান। 

বুধবার (৯ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর মহাখালীস্থ বাংলাদেশ মেডিকেল রিসার্চ কাউন্সিল (বিএমআরসি) ভবনে আয়োজিত স্লিপ অ্যাপনিয়া নিয়ে সচেতনতামূলক সেমিনারে আলোচকরা এসব তথ্য জানান।

আলোচকরা বলেন, স্লিপ অ্যাপনিয়া নামটি দেশের মানুষের কাছে নতুন হলেও। এদেশের প্রায় ৪ কোটি মানুষ রোগটিতে ভুগছেন। এটি মূলত ঘুমন্ত অবস্থায় দেহে অক্সিজেন ঘাটতি জনিত সমস্যা। ঘুমের মধ্যে দেহে অক্সিজেনের কারণে স্লিপ অ্যাপনিয়া রোগীরা নানাবিধ স্থায়ী জটিল রোগে ভুগেন। অধিকাংশ রোগীরা অনিয়ন্ত্রিত উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস, হৃদরোগসহ নানা মারাত্মক স্থায়ী রোগে ভুগেন।

ঘুমের মধ্যে নাক ডাকা এবং অতিরিক্ত নড়াচড়া স্লিপ অ্যাপনিয়া রোগের অন্যতম প্রধান লক্ষণ। এই রোগীরা অধিকাংশক্ষেত্রে সকালে মাথা ব্যাথার সমস্যায় ভুগেন এবং সারাদিন ঘুম ঘুম ভাব অনুভব করেন। ফলে তাদের কর্মজীবনে এর বিরূপ প্রভাব পড়ে। অনেক ক্ষেত্রে রোগীদের একাধিক ডায়াবেটিস ও উচ্চরক্তচাপের ওষুধ গ্রহণ করেও তা নিয়ন্ত্রণে আনতে পারেন না। বর্তমানে দেশেই এই রোগের শনাক্তকরণ ও চিকিৎসার ব্যবস্থা রয়েছে।

লক্ষণের বিষয়ে সকলকে সতর্ক হওয়ার আহ্বান জানিয়ে তারা বলেন, ঘুমের মধ্যে নাক ডাকা এবং অতিরিক্ত নড়াচড়া এই রোগের অন্যতম প্রধান লক্ষণ। এই রোগীরা অধিকাংশক্ষেত্রে সকালে মাথাব্যথার সমস্যায় ভুগেন এবং সারাদিন ঘুম ঘুম ভাব অনুভব করেন। ফলে তাদের কর্মজীবনে এর বিরূপ প্রভাব পড়ে। অনেক ক্ষেত্রে রোগীদের একাধিক ডায়াবেটিস ও উচ্চরক্তচাপের ওষুধ গ্রহণ করেও তা নিয়ন্ত্রণে আনতে পারেন না। বর্তমানে দেশেই এই রোগের শনাক্তকরণ ও চিকিৎসার ব্যবস্থা রয়েছে।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে পরিকল্পনা মন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, নামটা পরিচিত হলেও এ সম্পর্কে ধারণা কম ছিল। আজকে পরিপূর্ণভাবে জানতে পারলাম। নন-মেডিকেলরা সর্বদায় আপনাদের (চিকিৎসক) সহায়তার জন্যে তাকিয়ে। আপনারা আপনাদের জ্ঞান ও গবেষণার মাধ্যমে স্বাস্থ্যগত সমস্যার শনাক্ত ও সমাধানের মাধ্যমে মানুষের জীবনকে আরও সহজ করে দেবেন।

স্বাস্থ্যখাতকে প্রধানমন্ত্রী সবচেয়ে গুরুত্ব দিচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, স্বাস্থ্যখাতের উন্নয়নে সকল সম্ভাব্য ক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রী হাত দিয়েছেন। তিনি গবেষণায় গুরুত্ব দেন। পশ্চিমারা পারলে আমরা কেন পারবো না, এটা তার প্রশ্ন। তিনি মেডিকেল খাতে সব থেকে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছেন কারণ আমাদের এইখাতে অনেক ঘাটতি রয়েছে। সরকারের আন্তরিক প্রচেষ্টায় আমরা তা বহুলাংশেই কাটিয়ে উঠেছি।

mannan

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ বলেন, কারো স্লিপ অ্যাপনিয়া আছে কি না তা সেই ব্যক্তি বলতে পারেন না। কেউ নাক ডাকছে কিনা তা পাশে যে ঘুমায় সে বলতে পারবে। যদি অধিক নাক ডাকার সমস্যা থাকে তবে টেস্ট করতে হবে। আমাদের দেশে বিএসএমএমইউসহ কয়েকটি হাসপাতালে এ রোগ পরীক্ষার ল্যাব রয়েছে। সরকার জেলা পর্যায়েও ল্যাব তৈরির পরিকল্পনা করছে। সঠিকভাবে শনাক্ত ও চিকিৎসার মাধ্যমে এ রোগ থেকে সুস্থতা সম্ভব।

সভাপতির বক্তব্যে কমিউনিটি ক্লিনিক স্বাস্থ্য সহায়তা ট্রাস্টের সভাপতি ও বিএমআরসি চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. সৈয়দ মোদাচ্ছের আলী বলেন, আমরা এই রোগকে বোবা ধরা হিসেবে জানতাম। এখন আমরা জানতে পেরেছি সে ব্যক্তি অক্সিজেন পর্যাপ্ত পাচ্ছে না, ফলে এই সমস্যা দেখা দিয়েছে। এরপর আমরা এ রোগের শনাক্তকরণ ও চিকিৎসার ব্যাপারে জানতে পারলাম। এমনকি এর সার্জারিও রয়েছে। বিএমআরসি এবং সংশ্লিষ্টরা এটা নিয়ে কাজ করছেন। এতে দেশবাসী উপকৃত হবে বলেই আশা করি।

এমএইচ/এএস

দেশের প্রায় চার কোটি মানুষ স্লিপ অ্যাপনিয়াতে আক্রান্ত বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ চিকিৎসা রিসার্চ কাউন্সিলের বিশেষজ্ঞরা। এটি দেশের বিরাট জনগোষ্ঠীর ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, হার্ট ফেইলিউর ও স্ট্রোকের কারণ বলেও তারা জানান। 

বুধবার (৯ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর মহাখালীস্থ বাংলাদেশ মেডিকেল রিসার্চ কাউন্সিল (বিএমআরসি) ভবনে আয়োজিত স্লিপ অ্যাপনিয়া নিয়ে সচেতনতামূলক সেমিনারে আলোচকরা এসব তথ্য জানান।

আলোচকরা বলেন, স্লিপ অ্যাপনিয়া নামটি দেশের মানুষের কাছে নতুন হলেও। এদেশের প্রায় ৪ কোটি মানুষ রোগটিতে ভুগছেন। এটি মূলত ঘুমন্ত অবস্থায় দেহে অক্সিজেন ঘাটতি জনিত সমস্যা। ঘুমের মধ্যে দেহে অক্সিজেনের কারণে স্লিপ অ্যাপনিয়া রোগীরা নানাবিধ স্থায়ী জটিল রোগে ভুগেন। অধিকাংশ রোগীরা অনিয়ন্ত্রিত উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস, হৃদরোগসহ নানা মারাত্মক স্থায়ী রোগে ভুগেন।

ঘুমের মধ্যে নাক ডাকা এবং অতিরিক্ত নড়াচড়া স্লিপ অ্যাপনিয়া রোগের অন্যতম প্রধান লক্ষণ। এই রোগীরা অধিকাংশক্ষেত্রে সকালে মাথা ব্যাথার সমস্যায় ভুগেন এবং সারাদিন ঘুম ঘুম ভাব অনুভব করেন। ফলে তাদের কর্মজীবনে এর বিরূপ প্রভাব পড়ে। অনেক ক্ষেত্রে রোগীদের একাধিক ডায়াবেটিস ও উচ্চরক্তচাপের ওষুধ গ্রহণ করেও তা নিয়ন্ত্রণে আনতে পারেন না। বর্তমানে দেশেই এই রোগের শনাক্তকরণ ও চিকিৎসার ব্যবস্থা রয়েছে।

লক্ষণের বিষয়ে সকলকে সতর্ক হওয়ার আহ্বান জানিয়ে তারা বলেন, ঘুমের মধ্যে নাক ডাকা এবং অতিরিক্ত নড়াচড়া এই রোগের অন্যতম প্রধান লক্ষণ। এই রোগীরা অধিকাংশক্ষেত্রে সকালে মাথাব্যথার সমস্যায় ভুগেন এবং সারাদিন ঘুম ঘুম ভাব অনুভব করেন। ফলে তাদের কর্মজীবনে এর বিরূপ প্রভাব পড়ে। অনেক ক্ষেত্রে রোগীদের একাধিক ডায়াবেটিস ও উচ্চরক্তচাপের ওষুধ গ্রহণ করেও তা নিয়ন্ত্রণে আনতে পারেন না। বর্তমানে দেশেই এই রোগের শনাক্তকরণ ও চিকিৎসার ব্যবস্থা রয়েছে।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে পরিকল্পনা মন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, নামটা পরিচিত হলেও এ সম্পর্কে ধারণা কম ছিল। আজকে পরিপূর্ণভাবে জানতে পারলাম। নন-মেডিকেলরা সর্বদায় আপনাদের (চিকিৎসক) সহায়তার জন্যে তাকিয়ে। আপনারা আপনাদের জ্ঞান ও গবেষণার মাধ্যমে স্বাস্থ্যগত সমস্যার শনাক্ত ও সমাধানের মাধ্যমে মানুষের জীবনকে আরও সহজ করে দেবেন।

স্বাস্থ্যখাতকে প্রধানমন্ত্রী সবচেয়ে গুরুত্ব দিচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, স্বাস্থ্যখাতের উন্নয়নে সকল সম্ভাব্য ক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রী হাত দিয়েছেন। তিনি গবেষণায় গুরুত্ব দেন। পশ্চিমারা পারলে আমরা কেন পারবো না, এটা তার প্রশ্ন। তিনি মেডিকেল খাতে সব থেকে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছেন কারণ আমাদের এইখাতে অনেক ঘাটতি রয়েছে। সরকারের আন্তরিক প্রচেষ্টায় আমরা তা বহুলাংশেই কাটিয়ে উঠেছি।

mannan

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ বলেন, কারো স্লিপ অ্যাপনিয়া আছে কি না তা সেই ব্যক্তি বলতে পারেন না। কেউ নাক ডাকছে কিনা তা পাশে যে ঘুমায় সে বলতে পারবে। যদি অধিক নাক ডাকার সমস্যা থাকে তবে টেস্ট করতে হবে। আমাদের দেশে বিএসএমএমইউসহ কয়েকটি হাসপাতালে এ রোগ পরীক্ষার ল্যাব রয়েছে। সরকার জেলা পর্যায়েও ল্যাব তৈরির পরিকল্পনা করছে। সঠিকভাবে শনাক্ত ও চিকিৎসার মাধ্যমে এ রোগ থেকে সুস্থতা সম্ভব।

সভাপতির বক্তব্যে কমিউনিটি ক্লিনিক স্বাস্থ্য সহায়তা ট্রাস্টের সভাপতি ও বিএমআরসি চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. সৈয়দ মোদাচ্ছের আলী বলেন, আমরা এই রোগকে বোবা ধরা হিসেবে জানতাম। এখন আমরা জানতে পেরেছি সে ব্যক্তি অক্সিজেন পর্যাপ্ত পাচ্ছে না, ফলে এই সমস্যা দেখা দিয়েছে। এরপর আমরা এ রোগের শনাক্তকরণ ও চিকিৎসার ব্যাপারে জানতে পারলাম। এমনকি এর সার্জারিও রয়েছে। বিএমআরসি এবং সংশ্লিষ্টরা এটা নিয়ে কাজ করছেন। এতে দেশবাসী উপকৃত হবে বলেই আশা করি।

এমএইচ/এএস

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর