ফিলিস্তিনের গাজায় ‘গণহত্যার অপরাধে’ ইসরায়েলের বিরুদ্ধে দক্ষিণ আফ্রিকার করা মামলার গণশুনানির তারিখ ঘোষণা করেছেন আন্তর্জাতিক বিচার আদালত (আইসিজে)। আগামী ১১ ও ১২ জানুয়ারি এ গণশুনানি হবে জাতিসংঘের আদালতটিতে।
দক্ষিণ আফ্রিকা চায় আন্তর্জাতিক বিচারিক আদালত যেন অবিলম্বে গাজায় সামরিক তৎপরতা বন্ধ করে। গণহত্যার মামলা আনার জন্য যুক্তরাষ্ট্র দক্ষিণ আফ্রিকার সমালোচনা করেছে। খবর আল জাজিরার
বিজ্ঞাপন
বুধবার (৩ জানুয়ারি) সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্সে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে আইসিজে জানিয়েছে, গাজা যুদ্ধ নিয়ে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে করা দক্ষিণ আফ্রিকার মামলাটির বিষয়ে আগামী ১১ ও ১২ জানুয়ারি দ্য হেগের পিস প্যালেসে গণশুনানি করবে আইসিজে।
আরও পড়ুন: কেন দক্ষিণ আফ্রিকাকে স্বাগত জানালো ওআইসি?
শুনানির পর জরুরি ব্যবস্থার বিষয়ে সিদ্ধান্ত জারি করতে আদালত সাধারণত এক বা দুই সপ্তাহ সময় নেয়। আদালতের রায়গুলো চূড়ান্ত। তবে সেগুলো প্রয়োগ করার কোনো কর্তৃত্ব তার নেই। গাজায় ‘গণহত্যার অপরাধে’ গত সপ্তাহে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে মামলা দায়ের করে দক্ষিণ আফ্রিকা। গাজায় ফিলিস্তিনিদের হত্যাসহ শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন এবং মানুষের জীবন বিপর্যস্ত করে তোলা হয়েছে বলেও মামলার আবেদনে বলা হয়।
তবে জাতিসংঘের আদালতে মামলাটি প্রত্যাখ্যান করেছে ইসরায়েল। তিন মাস ধরে গাজা উপত্যকায় অব্যাহতভাবে চালানো ধ্বংসযজ্ঞ ও বোমা হামলায় ২২ হাজার ৩০০ জনের বেশি মানুষ নিহত হয়েছে। যার ৭০ শতাংশই নারী ও শিশু। আহত হয়েছে আরও অন্তত ৬০ হাজার। এছাড়া নিখোঁজ রয়েছে আরও প্রায় ১০ হাজার।
বিজ্ঞাপন
আরও পড়ুন: ইসরায়েলি বর্বরতার চূড়ান্ত রূপ দেখেছে বিশ্ব
হামলায় গাজা উপত্যকা কার্যত ধ্বংস হয়ে গেছে। মাটির সাথে মিশে গেছে বেশিরভাগ ঘরবাড়ি, স্কুল-কলেজ ও হাসপাতাল ভবন। গাজায় ইসরাইলের এই হত্যা ও ধ্বংসযজ্ঞকে এরই মধ্যে আন্তর্জাতিক মহল গণহত্যা বলে অভিহিত করেছে। ফিলিস্তিনে জাতিসংঘের স্পেশাল র্যাপোর্টিয়ার ফ্রান্সেসকা আলবানিজ বলেছেন, গাজায় ইসরাইলের হত্যাযজ্ঞ স্রেব্রেনিকা ও রুয়ান্ডার মতো বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলের গণহত্যা থেকে খুব বেশি ভিন্ন নয়।
আন্তর্জাতিক বিচার আদালতকে বিশ্ব আদালতও বলা হয়। এটি একটি জাতিসংঘের দেওয়ানি আদালত। যা দেশগুলোর মধ্যে বিরোধের বিচার করে। জাতিসংঘের সদস্য হিসেবে দক্ষিণ আফ্রিকা ও ইসরায়েল উভয়ই এই আন্তর্জাতিক বিচার আদালতের আওতাধীন।
একে