শীতের সময় উৎসব আয়োজন লেগেই থাকে। এসময় খাওয়াদাওয়ায় লাগাম টানা সম্ভব হয় না। শীতে কেক, কুকিজ, পেস্ট্রি খাওয়ার পরিমাণ বাড়ে। দাওয়াত আর উৎসবে কাচ্চি, রোস্ট, হরেক রকম কাবাব তো আছেই।
অনেকে শীতে ওজন বাড়ায় কথা ভেবে মাছ মাংস, ডিম খাওয়া বন্ধ রাখেন। শরীরে অতিরিক্ত প্রোটিন প্রবেশ করলে রোগ বাড়বে— এমনটা ভাবেন। কারো কারো বাতের ব্যথা বাড়ে। আবার অনেকের ইউরিক অ্যাসিডের পরিমাণও বাড়তে পারে। এসবের ভয়ে প্রাণিজ প্রোটিনের রাশ টানেন।
পুষ্টিবিদদের মতে, রক্তে শর্করার মাত্রা, হরমোনের ভারসাম্য নিয়ন্ত্রণের মতো শারীরবৃত্তীয় নানা কাজে প্রোটিনের ভূমিকা রয়েছে। তাই রোজ পরিমিত পরিমাণে প্রোটিন খাওয়া জরুরি। কেন প্রোটিন প্রয়োজনীয়? চলুন জানা যাক বিস্তারিত-
বিজ্ঞাপন
পেশির ক্ষত নিরাময়
শীতে শরীরচর্চায় কষ্ট অপেক্ষাকৃত কম হয়। এজন্য অনেকে নিজের আয়ত্তের বাইরে গিয়েও কসরত করেন। প্রশিক্ষকদের মতে, এমন অভ্যাসে অনেকেরই পেশী ক্ষতিগ্রস্ত হয়। হাড় দুর্বল হয়ে যায়। আর পেশীর ক্ষত নিরাময়ে প্রোটিনযুক্ত খাবারের বিকল্প নেই। ফিটনেস ধরে রাখার জন্যও পর্যাপ্ত পরিমাণে প্রোটিন খেতে হবে।
ওজন নিয়ন্ত্রণ
চোখের সামনে নানা রকম খাবার দেখলে লোভ সামলানো দায়। অন্যান্য খাবারের বদলে বেশি করে প্রোটিনযুক্ত খাবার খেলে ওজন বাড়ার আশঙ্কা থাকে না। উল্টো রক্তে শর্করার ভারসাম্য বজায় থাকে। ফলে ক্যালোরির মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকে।
ত্বক ও চুলের যত্ন
শীতকালে রুক্ষ ত্বক এবং শুষ্ক চুলের সমস্যায় পড়েন অনেকে। এসময় বাইরে থেকে পরিচর্যা করার পাশাপাশি, প্রোটিনে সমৃদ্ধ খাবার খাওয়ার পরামর্শ দেন পুষ্টিবিদরা। কেননা প্রোটিনে আছে বিভিন্ন প্রকার অ্যামাইনো অ্যাসিড, যা ত্বকে কোলাজেন এবং চুলে কেরাটিন নামক দু’টি প্রোটিনের মাত্রা বাড়িয়ে তুলতে সাহায্য করে।
সবমিলিয়ে বলা যায় শীতে শারীরিক সুস্থতা বজায় রাখতে খাদ্যতালিকায় পরিমিত প্রোটিন রাখা জরুরি। এতে উপকারই মিলবে।
এনএম