সোমবার, ৬ অক্টোবর, ২০২৫, ঢাকা

মুন্সিগঞ্জের ঐতিহ্য ‘টিন-কাঠের ঘরে’র চাহিদা দেশজুড়ে ‘টিন-কাঠের ঘরে’র

মুন্সিগঞ্জ
প্রকাশিত: ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১০:২৩ এএম

শেয়ার করুন:

মুন্সিগঞ্জের ঐতিহ্য ‘টিন-কাঠের ঘরে’র চাহিদা দেশজুড়ে ‘টিন-কাঠের ঘরে’র

এক সঙ্গে কয়েকটি ঘর। দেখতে বেশ। ঝকঝকে নতুন। রেডিমেড এসব ঘরে নান্দনিকতার ছোঁয়া। একতলা, দোতলা আর তিনতলা ঘর। ঘরের দরজা, জানালা, বেড়া, টুয়া, চাল, ভেতরে-বাহিরে সব কিছুতেই নকশা করা কারুকাজ। ঘরগুলো দেখলেই আটকে যায় চোখ। দৃষ্টিনন্দন এসব ঘর তৈরি হয়েছে কাঠ, টিন, প্লেন শিট দিয়ে। এসব ঘরকে স্থানীয়ভাবে টিন-কাঠের বাড়ি বলা হয়—মুন্সিগঞ্জের ঐতিহ্য এটি। শৌখিন কিংবা নিম্নবিত্ত—এ অঞ্চলের অধিকাংশ বাড়ি টিন-কাঠ দিয়েই তৈরি। নদীভাঙন-কবলিত অঞ্চল বলে এখানে কাঠের ঘরের কদর বেশি। ভাঙনের শিকার হলে সহজেই সরিয়ে নেওয়া যায়। তাছাড়া বিপদ-আপদে ঘর বিক্রি করে নগদ অর্থও পাওয়া যায়। তাছাড়া নান্দনিক সৌন্দর্যের কারণে খ্যাতি ছড়িয়ে পড়ছে দেশজুড়ে। বিক্রি হচ্ছে দেশের বিভিন্ন এলাকায়। 

  • wreertryt
  • fggfjhk
  • gfnjhkm

মুন্সিগঞ্জের বিভিন্ন স্থানে এ রকম অনেক ঘরের দেখা মেলে। এখানকার মানুষ যে কতটা শৌখিন—তা টিন-কাঠের তৈরি দৃষ্টিনন্দন এসব ঘর দেখলেই বোঝা যায়। কয়েক

  • hmhkhjk
  • trhytkuk
  • trhyukuyk,thjy

বছর ধরে জেলার বিভিন্ন এলাকায় নির্মাণ করা হচ্ছে নতুন নতুন দোচালা, তিনচালা, চৌচালা ও সাতচালা ঘর। এর মধ্যে শুধু লৌহজং উপজেলাতেই প্রতি মাসে ১০০-১৫০টি নতুন ঘর তৈরি হয়ে থাকে। নকশা, কাঠের ধরন ও আকারভেদে ঘরের দাম ২ লাখ থেকে ৩৫ লাখ পর্যন্ত হয়ে থাকে। ঘরগুলো তৈরি করার জন্য মিস্ত্রিরা আসে দেশের বিভিন্ন

  • trhhjhgj
  • hytkuy
  • rthtyk
  • thytku

 

স্থান থেকে। অনেক মিস্ত্রি ঘর তৈরিতে সুবিধার জন্য ৪-৫ বছর ধরে মুন্সীগঞ্জেই বসবাস করছেন। প্রকারভেদে ঘরগুলো তৈরিতে তাদের মজুরি হয় ৩৫-৬০ হাজার টাকা। 

মুন্সিগঞ্জ সদরের হাতিমারা, বজ্রযোগিনী; লৌহজংয়ের কলাবাগান কাঠপট্টি; টঙ্গীবাড়ির বেতকা; সিরাজদিখানের মালখানগর, কুচিয়ামোড়া বাজারসহ বিভিন্ন এলাকায় গড়ে উঠেছে অর্ধশত কাঠের ঘরের হাট। এসব হাটে দেখা মিলবে বিভিন্ন আকারের বাড়ি। 

  1. tyhjhuy
  2. trhytj

লৌহজং উপজেলার কাঠপট্টি কলাবাগান এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, নান্দনিক এসব ঘর তৈরির বিশাল কর্মযজ্ঞ। যন্ত্র ও হাতের সাহায্যে কাঠের নকশা ফুটিয়ে তুলছেন শ্রমিকেরা। তাদের হাতুরি পেটা ঠুকঠাক শব্দে মুখর পুরো এলাকা।

  1. tryhytj
  2. trhtyj
  3. tyytj
  4. tthy

মিস্ত্রিদের বয়ানে জানা যায়, আগে শুধু একতলা বা দোতলা ঘর তৈরি করে বিক্রি করা হতো, এখন তিনতলা ঘরও তৈরি করা হয়। ক্রেতারা ঘর কেনার পর কয়েকটি অংশ আলাদা করে নিয়ে যায়। বাড়িতে ভিটে তৈরি করে অংশগুলো জোড়া লাগালেই হয়ে যায় বাসের উপযোগী। টিন কাঠের রেডিমেড একটি ঘর কিনে একদিনের মধ্যেই বসবাসের উপযোগী করে তোলা যায়। 

  1. tytuyk
  2. gttyjuyk
  3. ryytjkuk

করোনার ধকলে গেল তিন বছর এসব রেডিমেড ঘর বিক্রিতে মন্দা দেখা গেলেও বর্তমানে তা কাটিয়ে উঠে সুদিন দেখছে ব্যবসায়ীরা। সম্প্রতি রড-সিমেন্টের দাম বেড়ে যাওয়ায় ক্রেতাদের কাছে কদর বেড়েছে এসব ঘরের।

  1. tryuytjuyk
  2. thyykjhju,
  3. jhyuk
  4. hjh,
  5. hfgj
  6. jf

৩০ থেকে ৩৫ বছর আগে মুন্সীগঞ্জে রেডিমেড ঘর বিক্রি শুরু হয়। সে সময় জেলার লৌহজং উপজেলার ঘোড়দৌড় ও সদর উপজেলার বজ্রযোগিনীতে এ ঘর বিক্রির ব্যবসা গড়ে ওঠে। দিনে দিনে এ ব্যবসা ছড়িয়ে পড়ে চারদিকে। বর্তমানে জেলা সদরের চূড়াইন, রামপাল, চরকেওয়ার, বন্দর নগরী মীরকাদিম; টঙ্গীবাড়ি উপজেলার সোনারং, বেতকা, আউটশাহী, আড়িয়ল, কামারখাড়া, দীঘিরপাড়; শ্রীনগর উপজেলার বেজগাঁও, দাইসা, বালাশুর এবং লৌহজং উপজেলার খলাপাড়া, বেজগাঁও ও মালির অঙ্ক গ্রামেও রেডিমেড ঘর বিক্রি হয়। এছাড়া মুন্সীগঞ্জ ছাপিয়ে এসব রেডিমেড ঘরের জনপ্রিয়তা এখন ছড়িয়ে পড়েছে ঢাকার দোহার, কুমিল্লা, খুলনা, চাঁদপুর, শরীয়তপুর, মাদারীপুর, ফরিদপুর, টাঙ্গাইল, ময়মনসিংহ, সিলেটসহ বিভিন্ন এলাকায়।

  1. 243t65y
  2. 46y r5ytr
  3. rgthytj
  4. retrthytjm

স্থানীয় ব্যবসায়ীরা জানায়, ভালো মানের কাঠ ও টিন দিয়ে তৈরি ঘরে পর্যাপ্ত আলো-বাতাস থাকে। আবহাওয়ার সঙ্গে ঘর দ্রুত ঠান্ডা ও গরম হয়। এসব ঘরের বিভিন্ন অংশ ভেঙে এক স্থান থেকে অন্য স্থানে নেওয়া যায়। প্রয়োজনে বিক্রিও করা যায়। 

  1. rtr5yhytj
  2. etrhyt
  3. gnhgmjhm

নির্মাণ শ্রমিকদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, একসময় বার্মার লোহাকাঠ, শালকাঠ ও টিন দিয়ে এই ঘর নির্মাণ করা হলেও বর্তমানে নাইজেরিয়ান লোহাকাঠ দিয়ে অধিকাংশ ঘর নির্মাণ করা হচ্ছে। লোহাকাঠ দিয়ে নির্মিত ঘরগুলো সাধারণত ৫৫ বছর থেকে ১০০ বছর পর্যন্ত স্থায়ী হয়ে থাকে। তাছাড়া দেশীয় কাঠেও তৈরি হয়ে থাকে রেডিমেড এসব ঘর। একটি এক তলা ঘর নির্মাণ করতে ৫-৭ জন শ্রমিকের ৮-১০ দিন সময় লাগে। ঘরগুলো বিক্রি হয় ২ লাখ টাকা থেকে ৮ লাখ টাকায়। এর চেয়ে বেশি দামেও ঘর পাওয়া যায় সর্বোচ্চ ৫০-৫৫ লাখ টাকা পর্যন্ত। তবে সেগুলো অর্ডার করার পর বানিয়ে দেওয়া হয়। তবে অনেকেই বাড়িতে কাঠমিস্ত্রি এনে ২০ থেকে ২৫ লাখ টাকা ব্যয়েও ২-৩ তলা প্রাসাদের মতো টিন ও কাঠ দিয়ে ঘর নির্মাণ করেন। জেলার সবকটি উপজেলায় এ ধরনের ঘরের প্রচুর চাহিদা রয়েছে। 

বিভিন্ন জায়গা থেকে গাছ কিনে আনেন মহাজনরা। এরপর সেগুলোকে স মিলে কেটে প্রয়োজনীয় আকার দেওয়া হয়। সেগুলোতে নকশা করেন নকশা মিস্ত্রিরা। টিনগুলো বিভিন্ন স্থান থেকে কিনে আনেন ব্যবসায়ীরা। ঘরগুলো জমির ওপর দাঁড় করাতে ব্যবহার করা হয় কাঠ, সিমেন্ট ও লোহার খুঁটি। একটি পূর্ণাঙ্গ ঘর প্রস্তুত করতে কয়েক দফা কাজ করেন শ্রমিকরা। এদিকে বাহারি এসব ঘর নির্মাণে বরিশালের শ্রমিকদের আলাদা চাহিদা রয়েছে মুন্সিগঞ্জে। এ জেলায় বরিশালের প্রায় এক হাজারের বেশি শ্রমিক ঘর নির্মাণ কাজে জড়িত বলে কাঠমিস্ত্রিরা জানান।

মিস্ত্রি সুমন ভটটাজ বলেন, আমরা এখানে বিদেশি নাইজেরিয়ান লোহাকাঠ ও বাচালো কাঠ দিয়ে ঘর নির্মাণ করি। এই কাঠ দিয়ে নির্মিত ঘরগুলো প্রায় ১০০ বছর পর্যন্ত টিকে। এই ঘরগুলোর এতো চাহিদা যে মুন্সিগঞ্জের বাইরেও ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, কুমিল্লা জেলাসহ বিভিন্ন জেলার লোকজন এসে কিনে নিয়ে যান।

আরেক কাঠমিস্ত্রি স্বপন রায় বলেন, একেকটি ঘর নকশাসহ নির্মাণ করতে চারজন মিস্ত্রির কমপক্ষে এক সপ্তাহ সময় লাগে। এখানে নির্মিত একটি ঘর ৩ থেকে ৫ লাখ টাকায় বিক্রি হয়। এর চেয়ে বেশি দামের ভালো ঘর তৈরি করতে হলে আমাদের আগে অর্ডার দিতে হয়। অর্ডার দিলে আমরা সেভাবে বানিয়ে থাকি।

মিস্ত্রি সরুজ বেপারী বলেন, এখানে তৈরি করা ঘর ক্রেতারা এসে কিনে নিয়ে যান। আবার অনেক ক্রেতার চাহিদা অনুযায়ী তাদের নিজস্ব খরচে ঘরগুলো খুলে নিয়ে প্রতিটি অংশ আলাদাভাবে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে তাদের দেখানো জায়গায় আবার জোড়া লাগিয়ে বসিয়ে দেওয়া হয়।

images_(7)

বজ্রযোগিনী ইউনিয়নের প্রবীণ ঘর ব্যবসায়ী আওলাদ ট্রেডার্সের মালিক আওলাদ মৃধা বলেন, দীর্ঘদিন ধরে এ পেশায় আছি। মাসে ১০-১২টি ঘর বিক্রি করতে পারি। টিন ও কাঠের দাম বেড়ে যাওয়ায় ঘরের দামও বেড়েছে। এজন্য ক্রেতারা ঘর কিনতে এসেও দাম শুনে পড়ে কিনবেন বলে চলে যাচ্ছে অনেকে। আমার ঘরের হাটে একাধিক

 

ডিজাইনের ঘর থাকে সব সময়। যেমন: ২৩ ঘর (দৈর্ঘ্য-প্রস্থ ২৩ ফুট), আই ২৩, টব, নাক-টিন, লালচালা, নীলচালা, সবুজ চালাসহ বিভিন্ন ধরনের। এসব ঘরে নানা রঙের উন্নতমানের বিভিন্ন টিন ব্যবহার করা হয়। এছাড়া অর্ডার অনুযায়ী ঘর বানিয়ে দেওয়া হয়। অধিকাংশ ঘরে ব্যবহৃত কাঠগুলো নাইজেরিয়ান লোহা কাঠের ব্যবহার হয়।

 

 

রেডিমেড ঘরের নির্মাণ ও বিক্রির সঙ্গে জড়িত ব্যবসায়ীদের প্রয়োজনে সহযোগিতা দেওয়ার কথা জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক আবু জাফর রিপন। তিনি বলেন,মুন্সিগঞ্জ জেলাজুড়ে রেডিমেড ঘর বিক্রির একটি প্রাচীন ঐতিহ্য রয়েছে, বর্তমানে দেশজুড়ে এর খ্যাতি ছড়িয়ে পড়েছে, চাহিদাও বেড়েছে কয়েক গুণ বেশি। যেহেতু দেশের

 

 

বিভিন্জেলা থেকে মানুষ এখানে রেডিমেড কিনতে আসে, তাদের কোনো সহযোগিতার প্রয়োজন হলে জেলা প্রশাসন তাদের সার্বিক সহযোগিতা করবে। এছাড়াও প্রতিনিয়ত ব্যবসায়ীদের সার্বিক খোঁজখবর রাখা হচ্ছে, এ পেশার সঙ্গে নিয়োজিত ঘর নির্মাণ শ্রমিকদের জীবনমান উন্নয়নে সরকারের নানামুখী উদ্যোগের আওতায় আনা হবে।

           
           
           
           

 

 

 এছাড়াও যদি নতুন তরুণ উদ্যোক্তা তৈরি হয় তাদের স্বল্প সুদে ঋণের ব্যবস্থার জন্য সহযোগিতা করা হবে।

 

rfgffg

প্রতিনিধি/এইচই

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর