আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থীদের আচরণবিধি মানাতে ও শৃঙ্খলা বজায় রাখতে আরও ১ হাজার ৯০৪ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট চেয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের চিঠি দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
বৃহস্পতিবার (২৮ ডিসেম্বর) নির্বাচন পরিচালনা শাখার উপ-সচিব আতিয়ার রহমান স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে এই চাহিদার কথা জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিবকে জানানো হয়।
বিজ্ঞাপন
চিঠিতে বলা হয়েছে, আগামী ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে আচরণবিধি প্রতিপালন নিশ্চিতকরণের পাশাপাশি ভোটগ্রহণের দু’দিন আগে ও পরে দু’দিন পর পর্যন্ত মোট ৫ (পাঁচ) দিনের জন্য নির্বাচনী এলাকার সার্বিক শান্তিশৃঙ্খলা রক্ষা, অপরাধ প্রতিরোধের জন্য এবং মোবাইল ও স্ট্রাইকিং ফোর্সের সাথে বিশেষ করে বিজিবি, কোস্টগার্ড ও সশস্ত্র বাহিনীর টিমের সাথে এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োজিতকরণের প্রয়োজন হবে। উল্লেখ্য, সূত্রোক্ত ১নং পরিপত্রের নির্দেশনা মোতাবেক বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও সশস্ত্র বাহিনী দায়িত্ব পালন করবে।
বিজ্ঞাপন
হাবিবুল আউয়াল বলেন, প্রার্থী বা প্রশাসনের কাছ থেকে খুব বেশি অভিযোগ পাইনি। মোটাদাগে খুব বেশি সহিংসতা হয়নি। একদমই হয়নি তা না। এ বিষয়ে আমরা প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলেছি যাতে সহিংসতা না হয়।
সহিংসতা কমাতে দলগুলোর মধ্যে আস্থা থাকা দরকার জানিয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, আস্থার সংস্কৃতি গড়ে তুলতে না পারলে সহিংসতা থেকে যাবে।
গ্রহণযোগ্য নির্বাচন আয়োজনে সবার সহযোগিতা চেয়ে হাবিবুল আউয়াল বলেন, কেন্দ্রে যাতে কোনো বাইরের লোক প্রবেশ করতে না পারে সেজন্য গণমাধ্যমসহ সবাইকে দায়িত্ব নিতে হবে। তাহলে নির্বাচন একটি দৃশ্যমান গ্রহণযোগ্যতা পাবে।
মানবাধিকার কমিশনের সঙ্গে বৈঠক প্রসঙ্গে সিইসি বলেন, সহিংসতা থেকে সরে এসে অহিংস পথে ভোটারদের উদ্বুদ্ধ করতে কাজ করবে দুই কমিশন।
ইসির সঙ্গে বৈঠকে মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান ড. কামাল উদ্দিন আহমেদের নেতৃত্বে আট সদস্যের প্রতিনিধি দল অংশ নেন। আর ইসি কর্মকর্তাদের নেতৃত্ব দেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল।
এমআর