লা-লিগায় আগের ম্যাচে রায়ো ভায়োকানোর বিপক্ষে হোঁচট খেয়েছিল রিয়াল মাদ্রিদ। সে ম্যাচে গোল শূন্য ড্র করায় গতকাল ভ্যালেন্সিয়ার বিপক্ষে মাঠে নামার আগে কিছুটা চাপও ছিল। তবে সব আশঙ্কা গুঁড়িয়ে দিয়ে স্বরূপে ফিরেছে স্প্যানিশ জায়ান্টরা। প্রতিপক্ষের জালে গোল বন্যায় মেতেছিল ভিনিসিয়ুস জুনিয়র-রদ্রিগোরা যার ফলে মিলেছে ৫-১ গোলের বিশাল এক জয়।
রিয়ালের ঘরের মাঠ সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে খেলতে নেমে গতকাল শুরু থেকেই আধিপত্য বজায় রেখেই খেলেছে ভিনিসিয়ুসরা। ফলে লস ব্লাঙ্কোসরা প্রথম গোলের দেখাও পেয়ে যায় প্রথমার্ধের তিন মিনিটেই। টনি ক্রুসের বাড়িয়ে দেয়া বলে বক্সের বাইরে থেকে শট নেন দানি কারভাহাল, পেয়ে যান জালের দেখা।
বিজ্ঞাপন
এরপর আট মিনিটের মাথায় ফের গোলের সুযোগ তোইরি করেছিলেন রিয়ালের জার্মান মিডফিল্ডার ক্রুস। তবে ফ্রি কিকে তার নেয়া শট বাঁধা পায় গোল বারে। তবে সুযোগ কাজে না লাগলেও আক্রমণের ধারা বজায় রেখেছিল রিয়াল। এদিকে পাল্টা আক্রমণে বেশ কয়েকবার লক্ষ্যভেদ করার সুযোগ পেয়েছিল ভ্যালেন্সিয়া, তবে শেষ পর্যন্ত হার মানতে হয়েছে গোলরক্ষক আন্দ্রে লুনিনের কাছে।
এদিকে গতকালের ম্যাচে রিয়ালের দ্বিতীয় গোলটি আসে ৪২ মিনিটে। রদ্রিগোর কাছে থেকে বল পেয়ে দারুণ এক কায়দায় বুক দিয়ে গোল করেন ব্রাজিলিয়ান ফুটবলার ভিনিসিয়ুস। দুই গোলের লিড নিয়েই এরপর বিরতিতে যায় রিয়াল। এরপর দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই আবার ব্যবধান বাড়ায় স্প্যানিশ জায়ান্টরা। ৪৯ মিনিটে গোল করেন ভিনি, এরপরই লক্ষ্যভেদ করেন আরেক ব্রাজিলিয়ান রদ্রিগো।
চার গোলে এগিয়ে যাওয়ার পর রিয়ালের পঞ্চম গোলটি এসেছে ম্যাচের শেষ দিকে ৮৪ মিনিটের মাথায়। লস ব্লাঙ্কোসদের হয়ে ম্যাচে দ্বিতীয়বারের মত লক্ষ্যভেদ করেন রদ্রিগো। ফলে ব্যবধান হয় ৫-০। পরে শেষদিকে অবশ্য একটি গোল ফেরত দিতে পেরেছে ভ্যালেন্সিয়ার ফুটবলার হুগো দুরো। তবে তা শুধু হারের ব্যবধানই কমিয়েছে কিছুটা।
ঘরের মাঠে ভ্যালেন্সিয়ার বিপক্ষে এ জয়কে এ মৌসুমে রিয়ালের সেরা ম্যাচ বলে আখ্যায়িত করেছেন কোচ কার্ল আনচেলত্তি। তিনি বলেন, ‘আজ আমরা এখন পর্যন্ত মৌসুমের সেরা ম্যাচ খেলেছি। আমরা হয়তো প্রথম ১৫ মিনিট আরও ভালোভাবে রক্ষণ সামলাতে পারতাম। কিন্তু ওইটুকু বাদ দিলে আমাদের জন্য নিখুঁত একটি ম্যাচ ছিল।’