সোমবার, ১৫ ডিসেম্বর, ২০২৫, ঢাকা

ঢাকা মেইল

হারিয়ে যাওয়া কয়েকটি ঘরোয়া খেলা

শেখ ওবায়দুল্লাহ
প্রকাশিত: ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ০১:০৬ পিএম

শেয়ার করুন:

হারিয়ে যাওয়া কয়েকটি ঘরোয়া খেলা

চিত্তবিনোদনের মাধ্যম হিসেবে আজ সবার হাতে হাতে মোবাইল ফোন শোভা পায়। এ মাধ্যমকে আরো জনপ্রিয় করে তুলেছে বর্তমানে ইন্টারনেটের সহজলভ্যতা। এখন আর দেখতে পাওয়া যায় না দলবদ্ধ কয়েকজন বন্ধুকে এক জায়গায় বসে সবার সাথে ঘরোয়া খেলায় মেতে উঠতে। 

কিন্তু এর পরিবর্তে দেখা যাবে কোথাও কোন বন্ধুদের দল একত্রিত হলে তাদের সবার চোখ মোবাইল ফোনের স্ক্রিনে। মোবাইল ফোনে থাকা গেমসগুলোই এখন মানুষের বিনোদনের খোরাক যোগাচ্ছে । 


বিজ্ঞাপন


কিন্তু কয়েক বছর আগেও মোবইলের এত চল ছিল না আর তখন বন্ধুরা জড়ো হলেই নিজেরা সময় কাটাত নানা ঘরোয়া খেলা। আজ এ খেলাগুলো হারিয়ে গেছে বললেই চলে। তেমনই কিছু খেলা হল— 

কলম টোকা
সাধারণত স্কুলে পড়াকালীন স্কুলের বেঞ্চের উপরে খেলা হত কলম টোকা খেলা। দুই বা ততোধিক বন্ধুবান্ধব মিলে কলম নিয়ে শুরু হত এ খেলা । কারণ কলমই হল এ খেলার উপকরণ। কলম টোকা খেলার নিময়ও খুব সহজ । প্রত্যেকে একটি করে কলম বেঞ্চের উপর রেখে নিজের কলমে টোকা দিয়ে আরেকজনের কলমকে বেঞ্চ থেকে ফেলে দেওয়াই হল প্রধান নিয়ম। এভাবে শেষ পর্যন্ত যার কলমটি টিকে থাকতো সেই হতো জয়ী। বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের শত বকাবকির পরও চলত জনপ্রিয় কলম টোকা খেলা। 

ছবি:সংগৃহীত

কাগুজে ক্রিকেট 


বিজ্ঞাপন


কোন কারণে মাঠে যেতে না পারলে কাগজেই খেলা হত ক্রিকেট। খাতার কোন একটি পৃষ্ঠায় একটি বৃত্ত এঁকে সেটিকে বানানো হত মাঠের আদলে আর সেইসাথে বৃত্তটিকে কয়েকটি ভাগে ভাগ করা হত। প্রতিটি ভাগেরই ছিল একেক রকম ক্যাটেগরি কোন ভাগে ৬ রান, কোথাও ৪, ৩, ২, ১ এরকম। এ ছাড়া আউটের ক্ষেত্রে কোথাও লেখা হত বোল্ড, কোথাওবা রান আউট, কট আউট ইত্যাদি। এছাড়া বৃত্তের কেন্দ্রে পয়েন্টে করে রাখা হত । খেলার নিয়ম হল একজন প্লেয়ার চোখ বন্ধ রাখা অবস্থায় বৃত্তের উপর কলম রাখবে আর অন্য একজন খাতা ঘুরিয়ে কাগজের ওরিয়েন্টশন চেঞ্জ করে দিবে। আর চোখ বন্ধ অবস্থায় কলম ধরে থাকা প্লেয়ারটি বৃত্তের কেন্দ্র থেকে কলম সরিয়ে বৃত্তের মধ্যে বিভক্ত যে কোন ক্যাটিগরিতে রাখবে। আর যে অংশে কলমটি পরবে সে হিসেবে ফলাফল নির্ধারিত হবে। আউটের অংশে কলম রাখলে অন্য খেলোয়াড় আসবে। 

চোর-পুলিশ-বাবু-ডাকাত

চারজন সদস্য হলেই খেলা যায় চোর-পুলিশ-বাবু-ডাকাত খেলা। চারজন গোল হয়ে বসে খেলা হত এটি। এ খেলার নিয়মও খুব চমৎকার । চারটি ছোট কাগজের টুকরায় লিখতে হয় "চোর", "পুলিশ", "ডাকাত" ও "বাবু"। কাগজের টুকরাগুলো ভাঁজ করে ফেলতে হয় চারজন খেলোয়াড়ের মাঝখানে। প্রত্যেকে একটি করে কাগজের টুকরো তুলবে।

"বাবু" ও” পুলিশ” লেখা কাগজ পাওয়া ব্যক্তি দুজন জানান দিত কে পুলিশ আর কে বাবু। পুলিশের কাজ হল কখনও চোর বের করা, আবার কখনও ডাকাত। পুলিশের অনুমান সঠিক হলে তার জন্য পয়েন্ট হবে ৫০০ আর ভুল হলে শূন্য। সেইসাথে ধরা পড়া চোরের বা ডাকাতের পয়েন্ট হবে শূন্য। 

আর বাবু লেখা কাগজটি যিনি পাবেন তিনিই সবচেয়ে সফল কারণ তিনি কোন ঝামেলা ছাড়াই পাবেন ১০০০ পয়েন্ট । এভাবে শেষ পর্যন্ত সবচেয়ে বেশী পয়েন্টে এগিয়ে থাকা ব্যক্তিটি বিজয়ী। 

হারিয়ে যাওয়া ঘরোয়া খেলার মধ্যে চোর-পুলিশ-বাবু-ডাকাত অন্যতম| (ছবি:সংগৃহীত)

মাথা গণনা

শ্রেণীকক্ষে আরেকটি মজার খেলা হল মাথা গণনা। যে বইয়ে বেশি মানুষের চিত্র আছে তেমন কোন একটি বই নেওয়া হত । তারপর একজন বইয়ের পৃষ্ঠা উল্টাতে উল্টাতে একজায়গায় থেমে যেত। সেই পৃষ্ঠা খুলে গণনা করা হত কয়টি মানুষের ছবি আছে সেখানে । যত মানুষ পাওয়া যেত তার তত পয়েন্ট হত। কোন মানুষের ছবি না পেলে পয়েন্ট হতো শূন্য। 

ডট বক্স খেলা 
খাতায় একটি কাগজে ফাঁকা দিয়ে অনেকগুলো ডট বা বিন্দু আঁকা হত। খেলার নিয়ম হল কলম দিয়ে বাম-ডানে, উপর-নীচ অথবা পাশপাশি দুটি ডট যোগ করা। যদি বিন্দুগুলো যোগ করে একটি বর্গাকার ঘর তৈরী হয়, তবে শেষ দুইটি বিন্দু যোগ করা ব্যক্তির নামে সেই ঘরটি হয়ে যাবে।

এসও 

চিত্তবিনোদনের মাধ্যম হিসেবে আজ সবার হাতে হাতে মোবাইল ফোন শোভা পায়। এ মাধ্যমকে আরো জনপ্রিয় করে তুলেছে বর্তমানে ইন্টারনেটের সহজলভ্যতা। এখন আর দেখতে পাওয়া যায় না দলবদ্ধ কয়েকজন বন্ধুকে এক জায়গায় বসে সবার সাথে ঘরোয়া খেলায় মেতে উঠতে। 

কিন্তু এর পরিবর্তে দেখা যাবে কোথাও কোন বন্ধুদের দল একত্রিত হলে তাদের সবার চোখ মোবাইল ফোনের স্ক্রিনে। মোবাইল ফোনে থাকা গেমসগুলোই এখন মানুষের বিনোদনের খোরাক যোগাচ্ছে । 

কিন্তু কয়েক বছর আগেও মোবইলের এত চল ছিল না আর তখন বন্ধুরা জড়ো হলেই নিজেরা সময় কাটাত নানা ঘরোয়া খেলা। আজ এ খেলাগুলো হারিয়ে গেছে বললেই চলে। তেমনই কিছু খেলা হল— 

কলম টোকা
সাধারণত স্কুলে পড়াকালীন স্কুলের বেঞ্চের উপরে খেলা হত কলম টোকা খেলা। দুই বা ততোধিক বন্ধুবান্ধব মিলে কলম নিয়ে শুরু হত এ খেলা । কারণ কলমই হল এ খেলার উপকরণ। কলম টোকা খেলার নিময়ও খুব সহজ । প্রত্যেকে একটি করে কলম বেঞ্চের উপর রেখে নিজের কলমে টোকা দিয়ে আরেকজনের কলমকে বেঞ্চ থেকে ফেলে দেওয়াই হল প্রধান নিয়ম। এভাবে শেষ পর্যন্ত যার কলমটি টিকে থাকতো সেই হতো জয়ী। বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের শত বকাবকির পরও চলত জনপ্রিয় কলম টোকা খেলা। 

ছবি:সংগৃহীত

কাগুজে ক্রিকেট 

কোন কারণে মাঠে যেতে না পারলে কাগজেই খেলা হত ক্রিকেট। খাতার কোন একটি পৃষ্ঠায় একটি বৃত্ত এঁকে সেটিকে বানানো হত মাঠের আদলে আর সেইসাথে বৃত্তটিকে কয়েকটি ভাগে ভাগ করা হত। প্রতিটি ভাগেরই ছিল একেক রকম ক্যাটেগরি কোন ভাগে ৬ রান, কোথাও ৪, ৩, ২, ১ এরকম। এ ছাড়া আউটের ক্ষেত্রে কোথাও লেখা হত বোল্ড, কোথাওবা রান আউট, কট আউট ইত্যাদি। এছাড়া বৃত্তের কেন্দ্রে পয়েন্টে করে রাখা হত । খেলার নিয়ম হল একজন প্লেয়ার চোখ বন্ধ রাখা অবস্থায় বৃত্তের উপর কলম রাখবে আর অন্য একজন খাতা ঘুরিয়ে কাগজের ওরিয়েন্টশন চেঞ্জ করে দিবে। আর চোখ বন্ধ অবস্থায় কলম ধরে থাকা প্লেয়ারটি বৃত্তের কেন্দ্র থেকে কলম সরিয়ে বৃত্তের মধ্যে বিভক্ত যে কোন ক্যাটিগরিতে রাখবে। আর যে অংশে কলমটি পরবে সে হিসেবে ফলাফল নির্ধারিত হবে। আউটের অংশে কলম রাখলে অন্য খেলোয়াড় আসবে। 

চোর-পুলিশ-বাবু-ডাকাত

চারজন সদস্য হলেই খেলা যায় চোর-পুলিশ-বাবু-ডাকাত খেলা। চারজন গোল হয়ে বসে খেলা হত এটি। এ খেলার নিয়মও খুব চমৎকার । চারটি ছোট কাগজের টুকরায় লিখতে হয় "চোর", "পুলিশ", "ডাকাত" ও "বাবু"। কাগজের টুকরাগুলো ভাঁজ করে ফেলতে হয় চারজন খেলোয়াড়ের মাঝখানে। প্রত্যেকে একটি করে কাগজের টুকরো তুলবে।

"বাবু" ও” পুলিশ” লেখা কাগজ পাওয়া ব্যক্তি দুজন জানান দিত কে পুলিশ আর কে বাবু। পুলিশের কাজ হল কখনও চোর বের করা, আবার কখনও ডাকাত। পুলিশের অনুমান সঠিক হলে তার জন্য পয়েন্ট হবে ৫০০ আর ভুল হলে শূন্য। সেইসাথে ধরা পড়া চোরের বা ডাকাতের পয়েন্ট হবে শূন্য। 

আর বাবু লেখা কাগজটি যিনি পাবেন তিনিই সবচেয়ে সফল কারণ তিনি কোন ঝামেলা ছাড়াই পাবেন ১০০০ পয়েন্ট । এভাবে শেষ পর্যন্ত সবচেয়ে বেশী পয়েন্টে এগিয়ে থাকা ব্যক্তিটি বিজয়ী। 

হারিয়ে যাওয়া ঘরোয়া খেলার মধ্যে চোর-পুলিশ-বাবু-ডাকাত অন্যতম| (ছবি:সংগৃহীত)

মাথা গণনা

শ্রেণীকক্ষে আরেকটি মজার খেলা হল মাথা গণনা। যে বইয়ে বেশি মানুষের চিত্র আছে তেমন কোন একটি বই নেওয়া হত । তারপর একজন বইয়ের পৃষ্ঠা উল্টাতে উল্টাতে একজায়গায় থেমে যেত। সেই পৃষ্ঠা খুলে গণনা করা হত কয়টি মানুষের ছবি আছে সেখানে । যত মানুষ পাওয়া যেত তার তত পয়েন্ট হত। কোন মানুষের ছবি না পেলে পয়েন্ট হতো শূন্য। 

ডট বক্স খেলা 
খাতায় একটি কাগজে ফাঁকা দিয়ে অনেকগুলো ডট বা বিন্দু আঁকা হত। খেলার নিয়ম হল কলম দিয়ে বাম-ডানে, উপর-নীচ অথবা পাশপাশি দুটি ডট যোগ করা। যদি বিন্দুগুলো যোগ করে একটি বর্গাকার ঘর তৈরী হয়, তবে শেষ দুইটি বিন্দু যোগ করা ব্যক্তির নামে সেই ঘরটি হয়ে যাবে।

এসও 

চিত্তবিনোদনের মাধ্যম হিসেবে আজ সবার হাতে হাতে মোবাইল ফোন শোভা পায়। এ মাধ্যমকে আরো জনপ্রিয় করে তুলেছে বর্তমানে ইন্টারনেটের সহজলভ্যতা। এখন আর দেখতে পাওয়া যায় না দলবদ্ধ কয়েকজন বন্ধুকে এক জায়গায় বসে সবার সাথে ঘরোয়া খেলায় মেতে উঠতে। 

কিন্তু এর পরিবর্তে দেখা যাবে কোথাও কোন বন্ধুদের দল একত্রিত হলে তাদের সবার চোখ মোবাইল ফোনের স্ক্রিনে। মোবাইল ফোনে থাকা গেমসগুলোই এখন মানুষের বিনোদনের খোরাক যোগাচ্ছে । 

কিন্তু কয়েক বছর আগেও মোবইলের এত চল ছিল না আর তখন বন্ধুরা জড়ো হলেই নিজেরা সময় কাটাত নানা ঘরোয়া খেলা। আজ এ খেলাগুলো হারিয়ে গেছে বললেই চলে। তেমনই কিছু খেলা হল— 

কলম টোকা
সাধারণত স্কুলে পড়াকালীন স্কুলের বেঞ্চের উপরে খেলা হত কলম টোকা খেলা। দুই বা ততোধিক বন্ধুবান্ধব মিলে কলম নিয়ে শুরু হত এ খেলা । কারণ কলমই হল এ খেলার উপকরণ। কলম টোকা খেলার নিময়ও খুব সহজ । প্রত্যেকে একটি করে কলম বেঞ্চের উপর রেখে নিজের কলমে টোকা দিয়ে আরেকজনের কলমকে বেঞ্চ থেকে ফেলে দেওয়াই হল প্রধান নিয়ম। এভাবে শেষ পর্যন্ত যার কলমটি টিকে থাকতো সেই হতো জয়ী। বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের শত বকাবকির পরও চলত জনপ্রিয় কলম টোকা খেলা। 

ছবি:সংগৃহীত

কাগুজে ক্রিকেট 

কোন কারণে মাঠে যেতে না পারলে কাগজেই খেলা হত ক্রিকেট। খাতার কোন একটি পৃষ্ঠায় একটি বৃত্ত এঁকে সেটিকে বানানো হত মাঠের আদলে আর সেইসাথে বৃত্তটিকে কয়েকটি ভাগে ভাগ করা হত। প্রতিটি ভাগেরই ছিল একেক রকম ক্যাটেগরি কোন ভাগে ৬ রান, কোথাও ৪, ৩, ২, ১ এরকম। এ ছাড়া আউটের ক্ষেত্রে কোথাও লেখা হত বোল্ড, কোথাওবা রান আউট, কট আউট ইত্যাদি। এছাড়া বৃত্তের কেন্দ্রে পয়েন্টে করে রাখা হত । খেলার নিয়ম হল একজন প্লেয়ার চোখ বন্ধ রাখা অবস্থায় বৃত্তের উপর কলম রাখবে আর অন্য একজন খাতা ঘুরিয়ে কাগজের ওরিয়েন্টশন চেঞ্জ করে দিবে। আর চোখ বন্ধ অবস্থায় কলম ধরে থাকা প্লেয়ারটি বৃত্তের কেন্দ্র থেকে কলম সরিয়ে বৃত্তের মধ্যে বিভক্ত যে কোন ক্যাটিগরিতে রাখবে। আর যে অংশে কলমটি পরবে সে হিসেবে ফলাফল নির্ধারিত হবে। আউটের অংশে কলম রাখলে অন্য খেলোয়াড় আসবে। 

চোর-পুলিশ-বাবু-ডাকাত

চারজন সদস্য হলেই খেলা যায় চোর-পুলিশ-বাবু-ডাকাত খেলা। চারজন গোল হয়ে বসে খেলা হত এটি। এ খেলার নিয়মও খুব চমৎকার । চারটি ছোট কাগজের টুকরায় লিখতে হয় "চোর", "পুলিশ", "ডাকাত" ও "বাবু"। কাগজের টুকরাগুলো ভাঁজ করে ফেলতে হয় চারজন খেলোয়াড়ের মাঝখানে। প্রত্যেকে একটি করে কাগজের টুকরো তুলবে।

"বাবু" ও” পুলিশ” লেখা কাগজ পাওয়া ব্যক্তি দুজন জানান দিত কে পুলিশ আর কে বাবু। পুলিশের কাজ হল কখনও চোর বের করা, আবার কখনও ডাকাত। পুলিশের অনুমান সঠিক হলে তার জন্য পয়েন্ট হবে ৫০০ আর ভুল হলে শূন্য। সেইসাথে ধরা পড়া চোরের বা ডাকাতের পয়েন্ট হবে শূন্য। 

আর বাবু লেখা কাগজটি যিনি পাবেন তিনিই সবচেয়ে সফল কারণ তিনি কোন ঝামেলা ছাড়াই পাবেন ১০০০ পয়েন্ট । এভাবে শেষ পর্যন্ত সবচেয়ে বেশী পয়েন্টে এগিয়ে থাকা ব্যক্তিটি বিজয়ী। 

হারিয়ে যাওয়া ঘরোয়া খেলার মধ্যে চোর-পুলিশ-বাবু-ডাকাত অন্যতম| (ছবি:সংগৃহীত)

মাথা গণনা

শ্রেণীকক্ষে আরেকটি মজার খেলা হল মাথা গণনা। যে বইয়ে বেশি মানুষের চিত্র আছে তেমন কোন একটি বই নেওয়া হত । তারপর একজন বইয়ের পৃষ্ঠা উল্টাতে উল্টাতে একজায়গায় থেমে যেত। সেই পৃষ্ঠা খুলে গণনা করা হত কয়টি মানুষের ছবি আছে সেখানে । যত মানুষ পাওয়া যেত তার তত পয়েন্ট হত। কোন মানুষের ছবি না পেলে পয়েন্ট হতো শূন্য। 

ডট বক্স খেলা 
খাতায় একটি কাগজে ফাঁকা দিয়ে অনেকগুলো ডট বা বিন্দু আঁকা হত। খেলার নিয়ম হল কলম দিয়ে বাম-ডানে, উপর-নীচ অথবা পাশপাশি দুটি ডট যোগ করা। যদি বিন্দুগুলো যোগ করে একটি বর্গাকার ঘর তৈরী হয়, তবে শেষ দুইটি বিন্দু যোগ করা ব্যক্তির নামে সেই ঘরটি হয়ে যাবে।

এসও 

চিত্তবিনোদনের মাধ্যম হিসেবে আজ সবার হাতে হাতে মোবাইল ফোন শোভা পায়। এ মাধ্যমকে আরো জনপ্রিয় করে তুলেছে বর্তমানে ইন্টারনেটের সহজলভ্যতা। এখন আর দেখতে পাওয়া যায় না দলবদ্ধ কয়েকজন বন্ধুকে এক জায়গায় বসে সবার সাথে ঘরোয়া খেলায় মেতে উঠতে। 

কিন্তু এর পরিবর্তে দেখা যাবে কোথাও কোন বন্ধুদের দল একত্রিত হলে তাদের সবার চোখ মোবাইল ফোনের স্ক্রিনে। মোবাইল ফোনে থাকা গেমসগুলোই এখন মানুষের বিনোদনের খোরাক যোগাচ্ছে । 

কিন্তু কয়েক বছর আগেও মোবইলের এত চল ছিল না আর তখন বন্ধুরা জড়ো হলেই নিজেরা সময় কাটাত নানা ঘরোয়া খেলা। আজ এ খেলাগুলো হারিয়ে গেছে বললেই চলে। তেমনই কিছু খেলা হল— 

কলম টোকা
সাধারণত স্কুলে পড়াকালীন স্কুলের বেঞ্চের উপরে খেলা হত কলম টোকা খেলা। দুই বা ততোধিক বন্ধুবান্ধব মিলে কলম নিয়ে শুরু হত এ খেলা । কারণ কলমই হল এ খেলার উপকরণ। কলম টোকা খেলার নিময়ও খুব সহজ । প্রত্যেকে একটি করে কলম বেঞ্চের উপর রেখে নিজের কলমে টোকা দিয়ে আরেকজনের কলমকে বেঞ্চ থেকে ফেলে দেওয়াই হল প্রধান নিয়ম। এভাবে শেষ পর্যন্ত যার কলমটি টিকে থাকতো সেই হতো জয়ী। বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের শত বকাবকির পরও চলত জনপ্রিয় কলম টোকা খেলা। 

ছবি:সংগৃহীত

কাগুজে ক্রিকেট 

কোন কারণে মাঠে যেতে না পারলে কাগজেই খেলা হত ক্রিকেট। খাতার কোন একটি পৃষ্ঠায় একটি বৃত্ত এঁকে সেটিকে বানানো হত মাঠের আদলে আর সেইসাথে বৃত্তটিকে কয়েকটি ভাগে ভাগ করা হত। প্রতিটি ভাগেরই ছিল একেক রকম ক্যাটেগরি কোন ভাগে ৬ রান, কোথাও ৪, ৩, ২, ১ এরকম। এ ছাড়া আউটের ক্ষেত্রে কোথাও লেখা হত বোল্ড, কোথাওবা রান আউট, কট আউট ইত্যাদি। এছাড়া বৃত্তের কেন্দ্রে পয়েন্টে করে রাখা হত । খেলার নিয়ম হল একজন প্লেয়ার চোখ বন্ধ রাখা অবস্থায় বৃত্তের উপর কলম রাখবে আর অন্য একজন খাতা ঘুরিয়ে কাগজের ওরিয়েন্টশন চেঞ্জ করে দিবে। আর চোখ বন্ধ অবস্থায় কলম ধরে থাকা প্লেয়ারটি বৃত্তের কেন্দ্র থেকে কলম সরিয়ে বৃত্তের মধ্যে বিভক্ত যে কোন ক্যাটিগরিতে রাখবে। আর যে অংশে কলমটি পরবে সে হিসেবে ফলাফল নির্ধারিত হবে। আউটের অংশে কলম রাখলে অন্য খেলোয়াড় আসবে। 

চোর-পুলিশ-বাবু-ডাকাত

চারজন সদস্য হলেই খেলা যায় চোর-পুলিশ-বাবু-ডাকাত খেলা। চারজন গোল হয়ে বসে খেলা হত এটি। এ খেলার নিয়মও খুব চমৎকার । চারটি ছোট কাগজের টুকরায় লিখতে হয় "চোর", "পুলিশ", "ডাকাত" ও "বাবু"। কাগজের টুকরাগুলো ভাঁজ করে ফেলতে হয় চারজন খেলোয়াড়ের মাঝখানে। প্রত্যেকে একটি করে কাগজের টুকরো তুলবে।

"বাবু" ও” পুলিশ” লেখা কাগজ পাওয়া ব্যক্তি দুজন জানান দিত কে পুলিশ আর কে বাবু। পুলিশের কাজ হল কখনও চোর বের করা, আবার কখনও ডাকাত। পুলিশের অনুমান সঠিক হলে তার জন্য পয়েন্ট হবে ৫০০ আর ভুল হলে শূন্য। সেইসাথে ধরা পড়া চোরের বা ডাকাতের পয়েন্ট হবে শূন্য। 

আর বাবু লেখা কাগজটি যিনি পাবেন তিনিই সবচেয়ে সফল কারণ তিনি কোন ঝামেলা ছাড়াই পাবেন ১০০০ পয়েন্ট । এভাবে শেষ পর্যন্ত সবচেয়ে বেশী পয়েন্টে এগিয়ে থাকা ব্যক্তিটি বিজয়ী। 

হারিয়ে যাওয়া ঘরোয়া খেলার মধ্যে চোর-পুলিশ-বাবু-ডাকাত অন্যতম| (ছবি:সংগৃহীত)

মাথা গণনা

শ্রেণীকক্ষে আরেকটি মজার খেলা হল মাথা গণনা। যে বইয়ে বেশি মানুষের চিত্র আছে তেমন কোন একটি বই নেওয়া হত । তারপর একজন বইয়ের পৃষ্ঠা উল্টাতে উল্টাতে একজায়গায় থেমে যেত। সেই পৃষ্ঠা খুলে গণনা করা হত কয়টি মানুষের ছবি আছে সেখানে । যত মানুষ পাওয়া যেত তার তত পয়েন্ট হত। কোন মানুষের ছবি না পেলে পয়েন্ট হতো শূন্য। 

ডট বক্স খেলা 
খাতায় একটি কাগজে ফাঁকা দিয়ে অনেকগুলো ডট বা বিন্দু আঁকা হত। খেলার নিয়ম হল কলম দিয়ে বাম-ডানে, উপর-নীচ অথবা পাশপাশি দুটি ডট যোগ করা। যদি বিন্দুগুলো যোগ করে একটি বর্গাকার ঘর তৈরী হয়, তবে শেষ দুইটি বিন্দু যোগ করা ব্যক্তির নামে সেই ঘরটি হয়ে যাবে।

এসও 

চিত্তবিনোদনের মাধ্যম হিসেবে আজ সবার হাতে হাতে মোবাইল ফোন শোভা পায়। এ মাধ্যমকে আরো জনপ্রিয় করে তুলেছে বর্তমানে ইন্টারনেটের সহজলভ্যতা। এখন আর দেখতে পাওয়া যায় না দলবদ্ধ কয়েকজন বন্ধুকে এক জায়গায় বসে সবার সাথে ঘরোয়া খেলায় মেতে উঠতে। 

কিন্তু এর পরিবর্তে দেখা যাবে কোথাও কোন বন্ধুদের দল একত্রিত হলে তাদের সবার চোখ মোবাইল ফোনের স্ক্রিনে। মোবাইল ফোনে থাকা গেমসগুলোই এখন মানুষের বিনোদনের খোরাক যোগাচ্ছে । 

কিন্তু কয়েক বছর আগেও মোবইলের এত চল ছিল না আর তখন বন্ধুরা জড়ো হলেই নিজেরা সময় কাটাত নানা ঘরোয়া খেলা। আজ এ খেলাগুলো হারিয়ে গেছে বললেই চলে। তেমনই কিছু খেলা হল— 

কলম টোকা
সাধারণত স্কুলে পড়াকালীন স্কুলের বেঞ্চের উপরে খেলা হত কলম টোকা খেলা। দুই বা ততোধিক বন্ধুবান্ধব মিলে কলম নিয়ে শুরু হত এ খেলা । কারণ কলমই হল এ খেলার উপকরণ। কলম টোকা খেলার নিময়ও খুব সহজ । প্রত্যেকে একটি করে কলম বেঞ্চের উপর রেখে নিজের কলমে টোকা দিয়ে আরেকজনের কলমকে বেঞ্চ থেকে ফেলে দেওয়াই হল প্রধান নিয়ম। এভাবে শেষ পর্যন্ত যার কলমটি টিকে থাকতো সেই হতো জয়ী। বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের শত বকাবকির পরও চলত জনপ্রিয় কলম টোকা খেলা। 

ছবি:সংগৃহীত

কাগুজে ক্রিকেট 

কোন কারণে মাঠে যেতে না পারলে কাগজেই খেলা হত ক্রিকেট। খাতার কোন একটি পৃষ্ঠায় একটি বৃত্ত এঁকে সেটিকে বানানো হত মাঠের আদলে আর সেইসাথে বৃত্তটিকে কয়েকটি ভাগে ভাগ করা হত। প্রতিটি ভাগেরই ছিল একেক রকম ক্যাটেগরি কোন ভাগে ৬ রান, কোথাও ৪, ৩, ২, ১ এরকম। এ ছাড়া আউটের ক্ষেত্রে কোথাও লেখা হত বোল্ড, কোথাওবা রান আউট, কট আউট ইত্যাদি। এছাড়া বৃত্তের কেন্দ্রে পয়েন্টে করে রাখা হত । খেলার নিয়ম হল একজন প্লেয়ার চোখ বন্ধ রাখা অবস্থায় বৃত্তের উপর কলম রাখবে আর অন্য একজন খাতা ঘুরিয়ে কাগজের ওরিয়েন্টশন চেঞ্জ করে দিবে। আর চোখ বন্ধ অবস্থায় কলম ধরে থাকা প্লেয়ারটি বৃত্তের কেন্দ্র থেকে কলম সরিয়ে বৃত্তের মধ্যে বিভক্ত যে কোন ক্যাটিগরিতে রাখবে। আর যে অংশে কলমটি পরবে সে হিসেবে ফলাফল নির্ধারিত হবে। আউটের অংশে কলম রাখলে অন্য খেলোয়াড় আসবে। 

চোর-পুলিশ-বাবু-ডাকাত

চারজন সদস্য হলেই খেলা যায় চোর-পুলিশ-বাবু-ডাকাত খেলা। চারজন গোল হয়ে বসে খেলা হত এটি। এ খেলার নিয়মও খুব চমৎকার । চারটি ছোট কাগজের টুকরায় লিখতে হয় "চোর", "পুলিশ", "ডাকাত" ও "বাবু"। কাগজের টুকরাগুলো ভাঁজ করে ফেলতে হয় চারজন খেলোয়াড়ের মাঝখানে। প্রত্যেকে একটি করে কাগজের টুকরো তুলবে।

"বাবু" ও” পুলিশ” লেখা কাগজ পাওয়া ব্যক্তি দুজন জানান দিত কে পুলিশ আর কে বাবু। পুলিশের কাজ হল কখনও চোর বের করা, আবার কখনও ডাকাত। পুলিশের অনুমান সঠিক হলে তার জন্য পয়েন্ট হবে ৫০০ আর ভুল হলে শূন্য। সেইসাথে ধরা পড়া চোরের বা ডাকাতের পয়েন্ট হবে শূন্য। 

আর বাবু লেখা কাগজটি যিনি পাবেন তিনিই সবচেয়ে সফল কারণ তিনি কোন ঝামেলা ছাড়াই পাবেন ১০০০ পয়েন্ট । এভাবে শেষ পর্যন্ত সবচেয়ে বেশী পয়েন্টে এগিয়ে থাকা ব্যক্তিটি বিজয়ী। 

হারিয়ে যাওয়া ঘরোয়া খেলার মধ্যে চোর-পুলিশ-বাবু-ডাকাত অন্যতম| (ছবি:সংগৃহীত)

মাথা গণনা

শ্রেণীকক্ষে আরেকটি মজার খেলা হল মাথা গণনা। যে বইয়ে বেশি মানুষের চিত্র আছে তেমন কোন একটি বই নেওয়া হত । তারপর একজন বইয়ের পৃষ্ঠা উল্টাতে উল্টাতে একজায়গায় থেমে যেত। সেই পৃষ্ঠা খুলে গণনা করা হত কয়টি মানুষের ছবি আছে সেখানে । যত মানুষ পাওয়া যেত তার তত পয়েন্ট হত। কোন মানুষের ছবি না পেলে পয়েন্ট হতো শূন্য। 

ডট বক্স খেলা 
খাতায় একটি কাগজে ফাঁকা দিয়ে অনেকগুলো ডট বা বিন্দু আঁকা হত। খেলার নিয়ম হল কলম দিয়ে বাম-ডানে, উপর-নীচ অথবা পাশপাশি দুটি ডট যোগ করা। যদি বিন্দুগুলো যোগ করে একটি বর্গাকার ঘর তৈরী হয়, তবে শেষ দুইটি বিন্দু যোগ করা ব্যক্তির নামে সেই ঘরটি হয়ে যাবে।

এসও 

চিত্তবিনোদনের মাধ্যম হিসেবে আজ সবার হাতে হাতে মোবাইল ফোন শোভা পায়। এ মাধ্যমকে আরো জনপ্রিয় করে তুলেছে বর্তমানে ইন্টারনেটের সহজলভ্যতা। এখন আর দেখতে পাওয়া যায় না দলবদ্ধ কয়েকজন বন্ধুকে এক জায়গায় বসে সবার সাথে ঘরোয়া খেলায় মেতে উঠতে। 

কিন্তু এর পরিবর্তে দেখা যাবে কোথাও কোন বন্ধুদের দল একত্রিত হলে তাদের সবার চোখ মোবাইল ফোনের স্ক্রিনে। মোবাইল ফোনে থাকা গেমসগুলোই এখন মানুষের বিনোদনের খোরাক যোগাচ্ছে । 

কিন্তু কয়েক বছর আগেও মোবইলের এত চল ছিল না আর তখন বন্ধুরা জড়ো হলেই নিজেরা সময় কাটাত নানা ঘরোয়া খেলা। আজ এ খেলাগুলো হারিয়ে গেছে বললেই চলে। তেমনই কিছু খেলা হল— 

কলম টোকা
সাধারণত স্কুলে পড়াকালীন স্কুলের বেঞ্চের উপরে খেলা হত কলম টোকা খেলা। দুই বা ততোধিক বন্ধুবান্ধব মিলে কলম নিয়ে শুরু হত এ খেলা । কারণ কলমই হল এ খেলার উপকরণ। কলম টোকা খেলার নিময়ও খুব সহজ । প্রত্যেকে একটি করে কলম বেঞ্চের উপর রেখে নিজের কলমে টোকা দিয়ে আরেকজনের কলমকে বেঞ্চ থেকে ফেলে দেওয়াই হল প্রধান নিয়ম। এভাবে শেষ পর্যন্ত যার কলমটি টিকে থাকতো সেই হতো জয়ী। বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের শত বকাবকির পরও চলত জনপ্রিয় কলম টোকা খেলা। 

ছবি:সংগৃহীত

কাগুজে ক্রিকেট 

কোন কারণে মাঠে যেতে না পারলে কাগজেই খেলা হত ক্রিকেট। খাতার কোন একটি পৃষ্ঠায় একটি বৃত্ত এঁকে সেটিকে বানানো হত মাঠের আদলে আর সেইসাথে বৃত্তটিকে কয়েকটি ভাগে ভাগ করা হত। প্রতিটি ভাগেরই ছিল একেক রকম ক্যাটেগরি কোন ভাগে ৬ রান, কোথাও ৪, ৩, ২, ১ এরকম। এ ছাড়া আউটের ক্ষেত্রে কোথাও লেখা হত বোল্ড, কোথাওবা রান আউট, কট আউট ইত্যাদি। এছাড়া বৃত্তের কেন্দ্রে পয়েন্টে করে রাখা হত । খেলার নিয়ম হল একজন প্লেয়ার চোখ বন্ধ রাখা অবস্থায় বৃত্তের উপর কলম রাখবে আর অন্য একজন খাতা ঘুরিয়ে কাগজের ওরিয়েন্টশন চেঞ্জ করে দিবে। আর চোখ বন্ধ অবস্থায় কলম ধরে থাকা প্লেয়ারটি বৃত্তের কেন্দ্র থেকে কলম সরিয়ে বৃত্তের মধ্যে বিভক্ত যে কোন ক্যাটিগরিতে রাখবে। আর যে অংশে কলমটি পরবে সে হিসেবে ফলাফল নির্ধারিত হবে। আউটের অংশে কলম রাখলে অন্য খেলোয়াড় আসবে। 

চোর-পুলিশ-বাবু-ডাকাত

চারজন সদস্য হলেই খেলা যায় চোর-পুলিশ-বাবু-ডাকাত খেলা। চারজন গোল হয়ে বসে খেলা হত এটি। এ খেলার নিয়মও খুব চমৎকার । চারটি ছোট কাগজের টুকরায় লিখতে হয় "চোর", "পুলিশ", "ডাকাত" ও "বাবু"। কাগজের টুকরাগুলো ভাঁজ করে ফেলতে হয় চারজন খেলোয়াড়ের মাঝখানে। প্রত্যেকে একটি করে কাগজের টুকরো তুলবে।

"বাবু" ও” পুলিশ” লেখা কাগজ পাওয়া ব্যক্তি দুজন জানান দিত কে পুলিশ আর কে বাবু। পুলিশের কাজ হল কখনও চোর বের করা, আবার কখনও ডাকাত। পুলিশের অনুমান সঠিক হলে তার জন্য পয়েন্ট হবে ৫০০ আর ভুল হলে শূন্য। সেইসাথে ধরা পড়া চোরের বা ডাকাতের পয়েন্ট হবে শূন্য। 

আর বাবু লেখা কাগজটি যিনি পাবেন তিনিই সবচেয়ে সফল কারণ তিনি কোন ঝামেলা ছাড়াই পাবেন ১০০০ পয়েন্ট । এভাবে শেষ পর্যন্ত সবচেয়ে বেশী পয়েন্টে এগিয়ে থাকা ব্যক্তিটি বিজয়ী। 

হারিয়ে যাওয়া ঘরোয়া খেলার মধ্যে চোর-পুলিশ-বাবু-ডাকাত অন্যতম| (ছবি:সংগৃহীত)

মাথা গণনা

শ্রেণীকক্ষে আরেকটি মজার খেলা হল মাথা গণনা। যে বইয়ে বেশি মানুষের চিত্র আছে তেমন কোন একটি বই নেওয়া হত । তারপর একজন বইয়ের পৃষ্ঠা উল্টাতে উল্টাতে একজায়গায় থেমে যেত। সেই পৃষ্ঠা খুলে গণনা করা হত কয়টি মানুষের ছবি আছে সেখানে । যত মানুষ পাওয়া যেত তার তত পয়েন্ট হত। কোন মানুষের ছবি না পেলে পয়েন্ট হতো শূন্য। 

ডট বক্স খেলা 
খাতায় একটি কাগজে ফাঁকা দিয়ে অনেকগুলো ডট বা বিন্দু আঁকা হত। খেলার নিয়ম হল কলম দিয়ে বাম-ডানে, উপর-নীচ অথবা পাশপাশি দুটি ডট যোগ করা। যদি বিন্দুগুলো যোগ করে একটি বর্গাকার ঘর তৈরী হয়, তবে শেষ দুইটি বিন্দু যোগ করা ব্যক্তির নামে সেই ঘরটি হয়ে যাবে।

এসও 

চিত্তবিনোদনের মাধ্যম হিসেবে আজ সবার হাতে হাতে মোবাইল ফোন শোভা পায়। এ মাধ্যমকে আরো জনপ্রিয় করে তুলেছে বর্তমানে ইন্টারনেটের সহজলভ্যতা। এখন আর দেখতে পাওয়া যায় না দলবদ্ধ কয়েকজন বন্ধুকে এক জায়গায় বসে সবার সাথে ঘরোয়া খেলায় মেতে উঠতে। 

কিন্তু এর পরিবর্তে দেখা যাবে কোথাও কোন বন্ধুদের দল একত্রিত হলে তাদের সবার চোখ মোবাইল ফোনের স্ক্রিনে। মোবাইল ফোনে থাকা গেমসগুলোই এখন মানুষের বিনোদনের খোরাক যোগাচ্ছে । 

কিন্তু কয়েক বছর আগেও মোবইলের এত চল ছিল না আর তখন বন্ধুরা জড়ো হলেই নিজেরা সময় কাটাত নানা ঘরোয়া খেলা। আজ এ খেলাগুলো হারিয়ে গেছে বললেই চলে। তেমনই কিছু খেলা হল— 

কলম টোকা
সাধারণত স্কুলে পড়াকালীন স্কুলের বেঞ্চের উপরে খেলা হত কলম টোকা খেলা। দুই বা ততোধিক বন্ধুবান্ধব মিলে কলম নিয়ে শুরু হত এ খেলা । কারণ কলমই হল এ খেলার উপকরণ। কলম টোকা খেলার নিময়ও খুব সহজ । প্রত্যেকে একটি করে কলম বেঞ্চের উপর রেখে নিজের কলমে টোকা দিয়ে আরেকজনের কলমকে বেঞ্চ থেকে ফেলে দেওয়াই হল প্রধান নিয়ম। এভাবে শেষ পর্যন্ত যার কলমটি টিকে থাকতো সেই হতো জয়ী। বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের শত বকাবকির পরও চলত জনপ্রিয় কলম টোকা খেলা। 

ছবি:সংগৃহীত

কাগুজে ক্রিকেট 

কোন কারণে মাঠে যেতে না পারলে কাগজেই খেলা হত ক্রিকেট। খাতার কোন একটি পৃষ্ঠায় একটি বৃত্ত এঁকে সেটিকে বানানো হত মাঠের আদলে আর সেইসাথে বৃত্তটিকে কয়েকটি ভাগে ভাগ করা হত। প্রতিটি ভাগেরই ছিল একেক রকম ক্যাটেগরি কোন ভাগে ৬ রান, কোথাও ৪, ৩, ২, ১ এরকম। এ ছাড়া আউটের ক্ষেত্রে কোথাও লেখা হত বোল্ড, কোথাওবা রান আউট, কট আউট ইত্যাদি। এছাড়া বৃত্তের কেন্দ্রে পয়েন্টে করে রাখা হত । খেলার নিয়ম হল একজন প্লেয়ার চোখ বন্ধ রাখা অবস্থায় বৃত্তের উপর কলম রাখবে আর অন্য একজন খাতা ঘুরিয়ে কাগজের ওরিয়েন্টশন চেঞ্জ করে দিবে। আর চোখ বন্ধ অবস্থায় কলম ধরে থাকা প্লেয়ারটি বৃত্তের কেন্দ্র থেকে কলম সরিয়ে বৃত্তের মধ্যে বিভক্ত যে কোন ক্যাটিগরিতে রাখবে। আর যে অংশে কলমটি পরবে সে হিসেবে ফলাফল নির্ধারিত হবে। আউটের অংশে কলম রাখলে অন্য খেলোয়াড় আসবে। 

চোর-পুলিশ-বাবু-ডাকাত

চারজন সদস্য হলেই খেলা যায় চোর-পুলিশ-বাবু-ডাকাত খেলা। চারজন গোল হয়ে বসে খেলা হত এটি। এ খেলার নিয়মও খুব চমৎকার । চারটি ছোট কাগজের টুকরায় লিখতে হয় "চোর", "পুলিশ", "ডাকাত" ও "বাবু"। কাগজের টুকরাগুলো ভাঁজ করে ফেলতে হয় চারজন খেলোয়াড়ের মাঝখানে। প্রত্যেকে একটি করে কাগজের টুকরো তুলবে।

"বাবু" ও” পুলিশ” লেখা কাগজ পাওয়া ব্যক্তি দুজন জানান দিত কে পুলিশ আর কে বাবু। পুলিশের কাজ হল কখনও চোর বের করা, আবার কখনও ডাকাত। পুলিশের অনুমান সঠিক হলে তার জন্য পয়েন্ট হবে ৫০০ আর ভুল হলে শূন্য। সেইসাথে ধরা পড়া চোরের বা ডাকাতের পয়েন্ট হবে শূন্য। 

আর বাবু লেখা কাগজটি যিনি পাবেন তিনিই সবচেয়ে সফল কারণ তিনি কোন ঝামেলা ছাড়াই পাবেন ১০০০ পয়েন্ট । এভাবে শেষ পর্যন্ত সবচেয়ে বেশী পয়েন্টে এগিয়ে থাকা ব্যক্তিটি বিজয়ী। 

হারিয়ে যাওয়া ঘরোয়া খেলার মধ্যে চোর-পুলিশ-বাবু-ডাকাত অন্যতম| (ছবি:সংগৃহীত)

মাথা গণনা

শ্রেণীকক্ষে আরেকটি মজার খেলা হল মাথা গণনা। যে বইয়ে বেশি মানুষের চিত্র আছে তেমন কোন একটি বই নেওয়া হত । তারপর একজন বইয়ের পৃষ্ঠা উল্টাতে উল্টাতে একজায়গায় থেমে যেত। সেই পৃষ্ঠা খুলে গণনা করা হত কয়টি মানুষের ছবি আছে সেখানে । যত মানুষ পাওয়া যেত তার তত পয়েন্ট হত। কোন মানুষের ছবি না পেলে পয়েন্ট হতো শূন্য। 

ডট বক্স খেলা 
খাতায় একটি কাগজে ফাঁকা দিয়ে অনেকগুলো ডট বা বিন্দু আঁকা হত। খেলার নিয়ম হল কলম দিয়ে বাম-ডানে, উপর-নীচ অথবা পাশপাশি দুটি ডট যোগ করা। যদি বিন্দুগুলো যোগ করে একটি বর্গাকার ঘর তৈরী হয়, তবে শেষ দুইটি বিন্দু যোগ করা ব্যক্তির নামে সেই ঘরটি হয়ে যাবে।

এসও 

চিত্তবিনোদনের মাধ্যম হিসেবে আজ সবার হাতে হাতে মোবাইল ফোন শোভা পায়। এ মাধ্যমকে আরো জনপ্রিয় করে তুলেছে বর্তমানে ইন্টারনেটের সহজলভ্যতা। এখন আর দেখতে পাওয়া যায় না দলবদ্ধ কয়েকজন বন্ধুকে এক জায়গায় বসে সবার সাথে ঘরোয়া খেলায় মেতে উঠতে। 

কিন্তু এর পরিবর্তে দেখা যাবে কোথাও কোন বন্ধুদের দল একত্রিত হলে তাদের সবার চোখ মোবাইল ফোনের স্ক্রিনে। মোবাইল ফোনে থাকা গেমসগুলোই এখন মানুষের বিনোদনের খোরাক যোগাচ্ছে । 

কিন্তু কয়েক বছর আগেও মোবইলের এত চল ছিল না আর তখন বন্ধুরা জড়ো হলেই নিজেরা সময় কাটাত নানা ঘরোয়া খেলা। আজ এ খেলাগুলো হারিয়ে গেছে বললেই চলে। তেমনই কিছু খেলা হল— 

কলম টোকা
সাধারণত স্কুলে পড়াকালীন স্কুলের বেঞ্চের উপরে খেলা হত কলম টোকা খেলা। দুই বা ততোধিক বন্ধুবান্ধব মিলে কলম নিয়ে শুরু হত এ খেলা । কারণ কলমই হল এ খেলার উপকরণ। কলম টোকা খেলার নিময়ও খুব সহজ । প্রত্যেকে একটি করে কলম বেঞ্চের উপর রেখে নিজের কলমে টোকা দিয়ে আরেকজনের কলমকে বেঞ্চ থেকে ফেলে দেওয়াই হল প্রধান নিয়ম। এভাবে শেষ পর্যন্ত যার কলমটি টিকে থাকতো সেই হতো জয়ী। বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের শত বকাবকির পরও চলত জনপ্রিয় কলম টোকা খেলা। 

ছবি:সংগৃহীত

কাগুজে ক্রিকেট 

কোন কারণে মাঠে যেতে না পারলে কাগজেই খেলা হত ক্রিকেট। খাতার কোন একটি পৃষ্ঠায় একটি বৃত্ত এঁকে সেটিকে বানানো হত মাঠের আদলে আর সেইসাথে বৃত্তটিকে কয়েকটি ভাগে ভাগ করা হত। প্রতিটি ভাগেরই ছিল একেক রকম ক্যাটেগরি কোন ভাগে ৬ রান, কোথাও ৪, ৩, ২, ১ এরকম। এ ছাড়া আউটের ক্ষেত্রে কোথাও লেখা হত বোল্ড, কোথাওবা রান আউট, কট আউট ইত্যাদি। এছাড়া বৃত্তের কেন্দ্রে পয়েন্টে করে রাখা হত । খেলার নিয়ম হল একজন প্লেয়ার চোখ বন্ধ রাখা অবস্থায় বৃত্তের উপর কলম রাখবে আর অন্য একজন খাতা ঘুরিয়ে কাগজের ওরিয়েন্টশন চেঞ্জ করে দিবে। আর চোখ বন্ধ অবস্থায় কলম ধরে থাকা প্লেয়ারটি বৃত্তের কেন্দ্র থেকে কলম সরিয়ে বৃত্তের মধ্যে বিভক্ত যে কোন ক্যাটিগরিতে রাখবে। আর যে অংশে কলমটি পরবে সে হিসেবে ফলাফল নির্ধারিত হবে। আউটের অংশে কলম রাখলে অন্য খেলোয়াড় আসবে। 

চোর-পুলিশ-বাবু-ডাকাত

চারজন সদস্য হলেই খেলা যায় চোর-পুলিশ-বাবু-ডাকাত খেলা। চারজন গোল হয়ে বসে খেলা হত এটি। এ খেলার নিয়মও খুব চমৎকার । চারটি ছোট কাগজের টুকরায় লিখতে হয় "চোর", "পুলিশ", "ডাকাত" ও "বাবু"। কাগজের টুকরাগুলো ভাঁজ করে ফেলতে হয় চারজন খেলোয়াড়ের মাঝখানে। প্রত্যেকে একটি করে কাগজের টুকরো তুলবে।

"বাবু" ও” পুলিশ” লেখা কাগজ পাওয়া ব্যক্তি দুজন জানান দিত কে পুলিশ আর কে বাবু। পুলিশের কাজ হল কখনও চোর বের করা, আবার কখনও ডাকাত। পুলিশের অনুমান সঠিক হলে তার জন্য পয়েন্ট হবে ৫০০ আর ভুল হলে শূন্য। সেইসাথে ধরা পড়া চোরের বা ডাকাতের পয়েন্ট হবে শূন্য। 

আর বাবু লেখা কাগজটি যিনি পাবেন তিনিই সবচেয়ে সফল কারণ তিনি কোন ঝামেলা ছাড়াই পাবেন ১০০০ পয়েন্ট । এভাবে শেষ পর্যন্ত সবচেয়ে বেশী পয়েন্টে এগিয়ে থাকা ব্যক্তিটি বিজয়ী। 

হারিয়ে যাওয়া ঘরোয়া খেলার মধ্যে চোর-পুলিশ-বাবু-ডাকাত অন্যতম| (ছবি:সংগৃহীত)

মাথা গণনা

শ্রেণীকক্ষে আরেকটি মজার খেলা হল মাথা গণনা। যে বইয়ে বেশি মানুষের চিত্র আছে তেমন কোন একটি বই নেওয়া হত । তারপর একজন বইয়ের পৃষ্ঠা উল্টাতে উল্টাতে একজায়গায় থেমে যেত। সেই পৃষ্ঠা খুলে গণনা করা হত কয়টি মানুষের ছবি আছে সেখানে । যত মানুষ পাওয়া যেত তার তত পয়েন্ট হত। কোন মানুষের ছবি না পেলে পয়েন্ট হতো শূন্য। 

ডট বক্স খেলা 
খাতায় একটি কাগজে ফাঁকা দিয়ে অনেকগুলো ডট বা বিন্দু আঁকা হত। খেলার নিয়ম হল কলম দিয়ে বাম-ডানে, উপর-নীচ অথবা পাশপাশি দুটি ডট যোগ করা। যদি বিন্দুগুলো যোগ করে একটি বর্গাকার ঘর তৈরী হয়, তবে শেষ দুইটি বিন্দু যোগ করা ব্যক্তির নামে সেই ঘরটি হয়ে যাবে।

এসও 

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর